নারায়ণগঞ্জ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন হোসিয়ারি সমিতি ভবন থেকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সরিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে দ্বারস্থ হয়েছে হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। গত ৭ আগস্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। এই দুটি স্মারকলিপির অনুলিপি র্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে।
হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার ভবনের ভেতরে থাকা অফিস কক্ষটি মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এবং ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে এখানে এনে ভয়ভীতি প্রদর্শন, মারধর সহ বেআইনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এতে বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের এমন কার্যক্রমের কারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন দায়ী থাকবে না। এছাড়া তাদের কর্মকান্ডের কারণে সাধারণ মানুষ এই কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এর আগেও এই বিষয়টি আপনাদের অবগত করে পত্র প্রেরন করা হলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা ব্যবসায়ীবৃন্দ পুনরায় আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি। অন্যথায় হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন তার সম্পদ রক্ষার্থে নয়ামাটি, উকিলপাড়া, দেওভোগ মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, এলটি রোড, এসএম মালেহ রোড, এসএস রোডের হোসিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
স্মারকলিপি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান বদু। তিনি গত কয়েকমাস ধরে হোসিয়ারি সমিতি ভবনের অফিস কক্ষ উদ্ধারে নানাবিধ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার অভিযোগ, কেউই সেভাবে তাদের সহযোগীতা করছে না। যার ফলে তারা আন্দোলনের কথা ভাবছে।
হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমাদের অফিস কার্যালয় ফেরত চেয়েছি। একই সাথে আমাদের দল বিএনপির যেন সুনাম ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। আমরা চাই, কোন প্রকার জটিলতা এবং সুনাম হানীকর পরিস্থিতি ছাড়াই আমাদের অফিস কার্যালয় বুঝে নিতে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যা বুঝতে পারছি তা হলো, প্রশাসনের সহযোগীতা ছাড়া এই অফিস কক্ষ ফেরৎ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই আমরা জেলার শীর্ষ দুই কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছি এবন দ্বারস্থ হয়েছি তারা যেন এর সঠিক সুরাহা করে দেন।’
হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের সদস্যরা বলছেন, ‘অফিস কক্ষ নিয়ে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা না পাওয়া গেলে অচিরেই আন্দোলনে নামবে ব্যবসায়ীরা। তবে শুধু অফিস কক্ষ সেখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে না। এর পাশাপাশি চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আইন শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়গুলোও উঠে আসবে। প্রশাসন যদি ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করে তাহলে ব্যবসায়ীরাও সহযোগীতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু কারও কাছে জিম্মি থাকতে রাজি নয় ব্যবসায়ীরা।’
আপনার মতামত লিখুন :