মশা ঠেকাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যার্থ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। নগরবাসীর অভিযোগ, ড্রেনে জমে থাকা ময়লা ঠিকমতো পরিষ্কার হয়না, ছিঁটানো হয়নি পর্যাপ্ত মশার ওষুধ, এডিস মশার ডিম নষ্ট করতেও নেয়া হয়নি কোনো টেকসই উদ্যোগ। সাধারণত জুন, জুলাই ও আগষ্টে এডিস মশার প্রভাব বেশি থাকে। তবে এর আগেই সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না পারায় এখন নগরীর ঘরে ঘরে মশাবাহিত রোগ বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
নাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ডের দেওভোগ আখড়া এলাকার বাসিন্দা আজিজ খন্দকার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি।
পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমাদের এলাকা সিটি করপোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডে। মশা দূর করতে আমরা কাউকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখি নাই। মশার ওষুধ দিয়েছে না কি দিয়েছে কেউ জানেনা। যার কারণে আজকে ঘরে ঘরে মানুষ অসুস্থ। ডাক্তারের কাছে গেলেই বলে মশার কামড়ে হয়েছে। আমরা তো এর আগে কখনো এমন দেখিনি।
১৩ নং ওয়ার্ডের গলাচিপা এলাকার এক নারী বলেন, ঠিকমতো মশার ওষুধ দিলে আজকে এতো সমস্যা হইত না। ওষুধ দিসে কিন্তু এগুলো লোক দেখানো কাজ। যেখানে প্রতিদিন দুইবার করে ওষুধ দেয়া দরকার। সেখানে এক মাসেও একবার ওষুধ দিতে দেখিনি। আমাদের ঘরে সবার ডেঙ্গু হইসে। ডাক্তার বলছে সিটি করপোরেশন মশা মারতে না পারায় এতো রোগ বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিটি করপোরেশনের পানি পরিষ্কার না থাকায় ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। এখন আবার তারা এডিস মশা দমন করতে না পারায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ নানান রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে এখন আর রোগীর চাপ নেয়া যাচ্ছেনা।
জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু বলেন, সিটি করপোরেশন মশা ভালোভাবে দমন করতে পারেনি। যে কারণে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ বেশি। মৃত্যু না থাকলেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। মশা নিয়ে সামনে আরো সিরিয়াস হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :