ফতুল্লা থানার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আল আমিনের (৩৫) আপোষের শর্তে জানিন পেলেও হিসেব-নিকেস বুঝিয়ে দেয়া নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক তারিখ ঘুরিয়ে সময়ক্ষেপন করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বজলুর রহমান বলেন, আল-আমিন শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলো। তারপর গত ১ সেপ্টেম্বর আলামিন তার অংশীদার সোহানের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠিয়ে বলে গোডাউন ছেড়ে দিতে চাচ্ছে। আমি বলি আমার গোডাউন ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিয়ে চলে যান। তারপর ৩ সেপ্টেম্বর আলামিনের পার্টনার সোহান বজলুর রহমানকে বলে আলামিন আপনার সাথে বসে এক বছরের হিসাব সম্পন্ন করে ব্যবসার লাভ-আসল সব বুঝিয়ে দিবে।
তিনি আরও বলেন, আল আমিন তার ব্যবসায়িক পার্টনার সোহান প্রথমে বলে ৬ তারিখে সকাল ১০ টায় বসবে। তারপরে বলে ৭ তারিখ সন্ধ্যায় বসবে এবং সন্ধ্যায় তাকে ফোন দেওয়া হলে বলে রাত ৯টায় বসবে। ৯টায় ফোন দেওয়া হলে ফোন কেটে দেয়। এরপর ৮ তারিখে ফোন দেওয়া হলে ফোন নম্বরটি ব্ল্যাকলিস্ট ফেলে দেয়। তারপর আলামিনের পার্টনার সোহানকে বিষয়টি অবগত করা হলে সোহান বলে আমি এই বিষয়ে কিছু বলবো না, আপনার যা করার আপনি করেন।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ফতুল্লা থানার দায়ের করা প্রতারণা মামলায় আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে গত ৩১ আগস্ট গ্রেফতার আল আমিনের আপোষের শর্তে জানিন হয়।
এ বিষয়ে মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, আপোষের শর্তে মামলার আসামী আল আমিনের জামিন হয়েছে। তিনি আদালতে হলফনামা দিয়ে বলেছেন আমি এই মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছি। ব্যবসার জন্য এই টাকা নিয়েছি এটা স্বীকার করছি। আমার ব্যবসা চলমান আছে। লাভের পরিমাণ কম হচ্ছে। যার কারণে টাকা দিতে পারি নাই। আমি পরবর্তীতে এই টাকা দিয়ে দিবো। সেই সাথে আদালত তাকে সময় দিয়েছে। পাশাপাশি হলফনামার শর্ত অনুযায়ী আদালত জামিন দিয়েছে। টাকা পরিশোধ করে দিবেন।
এদিকে মামলার বিবরণে জানা যায়, মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা মো. বজলুর রহমানের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে ১০ লাখ নেয়। টাকা নেয়ার সময় আল আমিন চুক্তিতে বলেছিলেন প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যবসার আয়-ব্যায়ের হিসেব বুঝিয়ে দিবেন। সেই সাথে টাকা ফেরত চাইলে তিনমাসের মধ্যে টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু টাকার নেয়ার পর আল আমিন আয়-ব্যায়ের কোনো হিসেব নিকেস দিচ্ছিলেন না। একই সাথে ব্যবসার লভ্যাংশও দিচ্ছিলেন না। আবার চুক্তি অনুযায়ী টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন না।
পরবর্তীতে মো. বজলুর রহমান আল আমিনের কাছে উকিল নোটিশ পাঠান। সেই সাথে উকিল নোটিসের প্রেক্ষিতে আল আমিন লোকজনের মাধ্যমে বজলুর রহমানকে জানান টাকা পরিশোধ করে দিবেন। কিন্তু কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পর টাকা না দিয়ে বরং উল্টা টাকা না দেয়ার হুমকি দেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বজলুর রহমান বাধ্য হয়ে প্রতারণা মামলা করেন। সেই সাথে মামলার প্রেক্ষিতে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :