নিষ্ঠুরভাবে অন্যের ক্ষতি করা, সমাজবিরোধী কাজ করা, মারধর, খুন, চাঁদাবাজী এমনকি হত্যার মতো গুরুতর অপরাধ করেও কোনো অনুভূতি বা অনুশোচনা না থাকা। এর সবগুলোর সাথে গভীর ভাবে মিল রয়েছে নগরীর জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর কিশোর সন্ত্রাসী তানভীরের। অনেকের ভাষ্য, এই যুবক এক ভয়ঙ্কর সাইকোপ্যাথ। তারপরও রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে করে যাচ্ছেন নতুন নতুন অপরাধ।
যাকে খুশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করাই যেন নেশা নগরীর জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর কিশোর সন্ত্রাসী তানভীরের। তার নেতৃত্বে কত মানুষকে প্রকাশ্যে কোপানো হয়েছে সেটির কোনো সঠিক হিসেবও নেই কারো কাছে। জিমখানা কলোনীতে নিজেদের পারিবারিক মাদকের ব্যবসায় যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এছাড়া এলাকায় নিজেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে গিয়েও তানভীর অসংখ্য নিরীহ মানুষকে মারধর করেছে।
পুলিশ ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, একাধিক হত্যাসহ মাদক, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, লুটপাটের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় কারণে তার বিরুদ্ধে ২০ টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সবশেষ গত বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি পার্কের সামনে রাতের আধারে শাহাদাৎ নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পরবর্তীতে র্যাব-১১ তানভীরকে জিমখানা কলোনী থেকে গ্রেপ্তার করে। সেই মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন এই সন্ত্রাসী।
জিমখানা কলোনীর বাসিন্দা তানভীরের পুরনো এক সহযোগী বর্তমানে নয়ামাটি এলাকায় একটি হোসিয়ারী কারখানার শ্রমিক। নাম না প্রকাশ করার শর্তে তিনি বলেন, আমাগো কলোনীর পাশে জল্লারপাড় লেক। ধরেন তানভীরে দেখলো পার্কে অনেকগুলো মেয়ে বইসা আছে। তাদের পাশে পোলাও আছে। তানভীরে ওই পোলারে মারবো। এটার কোনো কারণ নাই। মেয়েগো দেখাইবো তার অনেক ক্ষমতা। মাঝখানে ওরে ধইরা নিছে র্যাব। তখনও এলাকায় ওর সব চলছে। কারণ ওর পোলাপান সব নিয়ন্ত্রণ করছে। ওর মায় বড় মাদক ব্যবসায়ী। পোলায় আকাম কইরা জেলে গেলে সে ছাড়ায় আনে। আর সারা বছর পুলিশরে নেতাগো টেকা দিয়া সব ঠিক রাখে। নাইলে তানভীরে ডেলি একবার জেলে যাইতো। ওর হইলো মাথা খারাপ সমস্যা।
আপনার মতামত লিখুন :