নারায়ণগঞ্জে হঠাৎ বেড়েছে লোডশেডিং। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ বার চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ না পেয়ে কমেছে স্থানীয় কল-কারখানার উৎপাদন। বাসা বাড়ীর মানুষও বিরক্ত। এমনকি হাসপাতালের রোগীরাও রেহাই পাচ্ছেনা এ থেকে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর অন্ধকারে নগরীর ১০০ শয্যা ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের রোগীরা টচ লাইট জ্বালিয়ে মেঝেতে ও বেডে শুয়ে আছেন। গরমে অস্থির রোগীদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন স্বজনেরা।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের এক নার্স বলেন, বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। জেনারেটকও ঠিকমতো কাজ করছেনা। দেখা যায় একবার দুইবার তিনবার বিদ্যুৎ চলে গেলে সাপোর্ট দেয়া যায়। কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গেলে তখন আর কোনো কিছুই ঠিক থাকেনা।
হাসাপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজন বলেন, রাতে কারেন্ট গেলে যদি জেনারেটর না থাকে তাইলে সবাই বারান্দয় হাটে। কি করবো গরমে অবস্থা খারাপ হইয়া যায়? আমি আসার পর দুইদিন এই অবস্থা দেখলাম। জেনারেটও বন্ধ কইরা রাখে। এমন করলে কি করার আছে। রোগীরা তো এমনিতেই অসুস্থ। এর মধ্যে আবার এই অবস্থার কারণে আরো অসুস্থ হইয়া যায় তারা।
আকলিমা বেগম নামে এক রোগী স্বজন বলেন, আমার ছেলের বউ অনেক দিন ধইরা হাসপাতালে ভর্তি। আসার পর থেকে কারেন্টের সমস্যা। রাইতে কারেন্ট গেলে সময়তে জেনারেটরও থাকেনা। তখন কাউরে কিছু বলাও যায়না। আমাদের কথা কে শুনবো। ঠিকমতো ডাক্তারই পাওয়া যায়না। কারেন্টের লাইগা কার কাছে যামু কন?
জানতে চাইলে হাসপাতালের ইলেকট্রিশিয়ান বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা সারা শহরেই চলছে। মাঝেমধ্যে হাসপাতালেও হয়। একদিন রাতে বিদ্যুৎ ছিলোনা। সেদিন রোগীদের ভোগান্তী হয়েছে। কিন্তু আমার জানামতে প্রতিদিন এই সমস্যা হয়না।
সম্প্রতি হাসপাতালের বৈদ্যুতিক তার চুরির খবরও শোনা গেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :