নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান বলেছেন,রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতার গুলিবর্ষণে ব্যবসায়ীকে হত্যাকারী ছাত্রদল নেতা আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন হননা। আমরা আপন পাঁচ ভাই।আমার কোনো ভাইয়ের ছেলে ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম বাবু না। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে।
আমি রাজনীতি করি, রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আমাকে অনেকে চাচা, ভাই, মামা ডাকতেই পারেন সেজন্য কি হত্যার দায় আমাকে দেওয়া হবে?
সম্প্রতি নিউজ নারায়ণগঞ্জে এক সরাসরি আলাচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
রূপগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে বিভক্তি নেই জানিয়ে এই নেতা বলে, আমাদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। বিএনপি একটা বৃহত্তর দল,দলটি তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা রাজনৈতিক দল। এ দলে মনোনয়ন কিংবা নেতৃত্ব প্রত্যাশী যাই বলি যে অনেক মানুষ নেতৃত্বে আসতে প্রতিযোগিতা করে। আমাদের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে প্রতিযোগিতা আছে। ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জের যেকোনো থানা থেকে রুপগঞ্জে হতে নেতৃত্ব বেশি দিয়েছেন। যেমন মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরী যখন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তখন রুপগঞ্জের রাজনীতিকে তিনি অনেক সুন্দর করে রেখেছিলেন। তার হাতে অনেক নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। উনার মৃত্যুর পর এখানে তৈমুর আলম খন্দকার ও কাজী মনির হোসেনরা রাজনীতি করেছেন। তারা দু'জনই রুপগঞ্জের সন্তান। এরপর এখন মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া সাহেব জেলার রাজনীতিতে এসেছেন। আমি মনে করি রূপগঞ্জের রাজনীতিটা নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য থানা থেকে একটু ব্যতিক্রম।
এখানের সমস্ত মানুষ রাজনীতিকে ভালোবাসে এবং মনে ধারণা করে করে। এজন্যই এতো নেতৃত্ব এসেছে। এখানকার বিএনপিতে কোনো বিভক্তি নেই। বৃহত্তর দল হিসেবে টুকটাক সমস্যা থাকতেই পারে।
৫ আগস্টের পর রুপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা সংঘটিত হচ্ছে এগুলো কোনো গ্রুপিংয়ের হত্যা না মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, সংঘটিত হত্যাগুলো এক গ্রপেরই হত্যা। কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পাবেল হত্যার তথ্য নিলে জানা যাবে যে সেটা কিন্তু দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব না এটা একই গ্রুপের ঘটনা। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় যে হত্যাগুলো হয়েছে সেগুলো একটা মহল তাদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটাচ্ছে। তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলেই হত্যাগুলো কারা করছে তা বেড়িয়ে আসবে।
জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শান্ত প্রধানকে নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে তিনি বলে, আমরা শুনেছি এক আসামিকে শান্ত প্রধান জোরপূর্বক পুলিশের কাছ থেকে রেখেছিলেন। এই ঘটনায় আমাদের দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত শান্তের ঘটনা ছাড়া আর একটা ঘটনাও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল করেনি। এমন কোনো প্রমান কেউ দেখাতে পারবে না।
আপনার মতামত লিখুন :