News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই, ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

আড়াইহাজারের পর শহরে জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম আড়াইহাজারের পর শহরে জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি

গত ১৪ জুন আড়াইহাজারে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগে হামলা চালিয়ে আলোচনা সৃষ্টি করে বিএনপি। ওই সময় বিএনপির কয়েকজন আহত হলেও এবার জামায়াতের সক্রিয় নেতাদের পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।

তিনি হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শিবিরের সাবেক সভাপতি, বর্তমান জামায়াতে ইসলামী মহানগরীর সদস্য ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোলাম সারোয়ার সাঈদ। গতকাল সোমবার সকালে চাষাঢ়া একটি দোকান নিয়ে বিরোধের জেরে সাঈদকে পিটুনী দেয় অপরপক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগরের সভাপতি রানা সমর্থকরা। এমন ঘটনায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন সহ দুই দলের মধ্যে তুমুল আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। একই দুইপক্ষ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত ১৪ জুন আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় জামায়াতে নেতারা। তারা জানান, গণসংযোগ চলাকালে হঠাৎ করেই স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে বাধা দেন। প্রথমে তর্কবিতর্কের পর জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা চালান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মোতাহার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহজাহান শিকারি ও ইউসুফ শিকারির নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এদের মধ্যে শাহজাহান শিকারি মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বলে জানতে পেরেছি। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।’ অন্যদিকে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব জুয়েল বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এদিকে এক মাসের আগে ৭ জুলাই চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মসজিদ সংলগ্ন পৌর মার্কেটের একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চেম্বারের পরিচালক ও জামায়াত নেতা গোলাম সারোয়ার সাঈদের উপর হামলা ঘটে। ওই সময়ে সেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা সহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চাষাঢ়ায় পৌর মার্কেটের একটি দোকান নিয়ে কয়েকদিন ধরেই মালিকানা বিরোধ ছিল। আশিকুর রহমান নামের একজন দোকানের মালিক দাবী করলেও সাঈদের দাবী তিনি নিজেও ওই দোকানের মালিক। এ নিয়ে মামলা ছিল এবং তিনি মামলায় জয়ী হয়েছেন। আশিকুরের পেছনে কাজ করছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। ৭ জুলাই দুপুরে সাঈদ ওই দোকানে গিয়ে বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। খবর পেয়ে সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুর অফিসে থাকা জুলহাস ছুটে এসে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে শকু ঘটনাস্থলে আসলে তার সঙ্গে সাঈদের বাকবিতন্ডা ঘটে। একই সময়ে ছুটে আসেন রানা। তাদের উপস্থিতিতে সঙ্গে থাকা লোকজন সাঈদের উপর হামলা চালিয়ে কিল ঘুষি ও বেধড়ক মারধর করতে থাকে। 

হামলার শিকার নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের পরিচালক ও সাবেক শিবির নেতা গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, ওই দোকানের পুরো জায়গার মালিক আমি। আমি সব আইনী প্রক্রিয়া মেনেই সব করছিলাম। কিন্তু তারা আমার উপর যে আঘাত করেছে এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো। অন্যদিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, হঠাৎ খবর পাই বুলডেজার দিয়ে দোকান ভেঙ্গে ফেলছে। সে যদি এভাবে গায়ের জোরে সব দখল করে নেয় তা তো কাম্য না। আর আমরা তাকে কোনো আঘাত করি নাই। 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেন, খবর শুনে আমি সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে ঘটনাস্থলে যাই। তাকে বলি আপনার কাছে যদি এই জমির মালিকানা থাকে তাহলে আপনি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোকানের দখল নিতেন। তিনি কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

Islam's Group