বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত সাত মাস হতে যাচ্ছে ১৪ জুলাই। গত বছর ১২ ডিসেম্বর ২নং রেলগেইটস্থ আলমাস পয়েন্টের সামনে ভোরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পথে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তিনজন মটরসাইকেল বহনকারী। ওই সময়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন, পরবর্তিতে ১৪ ডিসেম্বর সীমান্ত মারা যায়। এ ঘটনায় যখন পুরো দেশ তোলপাড় হলে সমলোচনা পড়েন জেলা পুলিশ প্রশাসন।
নিহতের বাবা হাজি মো. আলম পারভেজ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে পৃথক পৃথক অভিযানে ব্যবহৃত ধারালো চাকুসহ মূল আসামি চান্দি বাবু, মোহাম্মদ আকাশ খান ওরফে সাইদুর রহমান আকাশ ও অনিককে গ্রেপ্তার করে। ইতোমধ্যে তারা কারাগারে বন্দি রয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। অপরাধীরা সীমান্তের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ১ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
বাদী নিহতের বাবা হাজি মো. আলম পারভেজ জানান, গত ৭ মাসে একাধিক বার আদালতে শুনানী হয়েছে। আসামীরা কারাগারে রয়েছেন। পুলিশের অসহযোগিতা কারণে এখনো চার্জশীট আদালতে জমা হয়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও চার্জশীট নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের সবাই এখনো আতংকে রয়েছে। হত্যাকারী ছিনতাইকারীদের বিচার দেখে যেতে পারব তো। আর যেন কারো বাবা-মায়ের বুক খালি করতে পারে ছিনতাইকারীরা। সীমান্ত হত্যা বিচারের মাধ্যমে শহরে ছিনতাই ঘটনা বন্ধ করতে চাই।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা উপ-পরিদর্শক এম কে হালদার মিলন জানান, সীমান্ত হত্যা তদন্ত কাজ শেষ। চার্জশীট তৈরি প্রক্রিয়াধীন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিদের্শেনায় আগামী সপ্তাহে আদালতে দাখিল করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :