জেলার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ১৩ জুলাই সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম হোসেন, এনএসআই কর্মকর্তা দাদন মুন্সী, জেলা আনসার কমান্ডার কানিজ ফারজানা শান্তা, সহকারী পরিচালক-৬২ ব্যাটালিয়ন জিয়াউর রহমান ও জেল সুপার ফোরকান ওয়াহিদ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সবাই যদি নিজেদের অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই তাহলে আজ যত আলোচনা হলো সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব। শুধু বলছি কিন্তু সেটাকে কতটুকু বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি সেটা যদি অনুভব না করি তাহলে সম্ভব হবে না। মাদক হচ্ছে সকল অপরাধের মূল। যারা মাদক সেবন করে তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে বিবেক কাজ করে না। যখন বিবেক কাজ করে না তখন সে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে মাদকের প্রসার বাড়ছে আমরা এটা যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমাদের সকলের দায় দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করবো আগামী মিটিংয়ে এটার সফলতা পাবো। আমরা উল্লেখযোগ্য অভিযান দেখতে পাই।
মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। আমরা আমাদের সকল চেষ্টা দিয়েও সেই সমস্যার সমাধান করা যায়নি। আমাদের চেষ্টা আছে। চেষ্টা আছে কিন্তু দূরীভূত হচ্ছে না। যে সকল কারখানা অটো তৈরি করতে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। এই শহর আর লোড নিতে পারবে না। এভাবে যদি বাড়তে থাকে অটো দাঁড়িয়ে থাকবে আগাতেও পারবে না পিছাতেও পারবে না। এই বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় শহর অচল হয়ে যাবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সখাওয়াত হোসেন খান, জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন, মহানগর ইসলামি আন্দোলন সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আজাদ জাকির সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :