স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কমিটি গঠিত এনসিপির লেজুড়বৃত্তি করছেন এমন অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শরৎ সাহা। সোমবার ১৪ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যবহৃত আইডিতে পোস্ট দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন আমি শরৎ সাহা সজ্ঞানে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করলাম!
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এনসিপির সাথে একই ব্যানারে মিছিল করেছে। শুধু এটাই না, প্রথম থেকেই এই সংগঠন এনসিপির লেজুড়বৃত্তি করে একসাথে সকল প্রোগ্রাম করে আসছে। এনসিপির লেজুড়বৃত্তি ব্যতীত এই সংগঠনের নিজস্ব কোনো স্বকীয়তাই নেই। অথচ কমিটি হওয়ার পূর্বে আমাদেরকে বলা হয়েছিল যে, এটি একটি স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করবে!
লেজুড়বৃত্তি বাদেও এই সংগঠন আরও অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত। সত্য কখনো চাপা থাকেনা। সেসব একদিন অবশ্যই সামনে আসবে! ইদানীং তারা একটি দল ও দলের শীর্ষ নেতাকে নিয়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য এবং স্লোগান দিয়ে অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। এরকম প্রতিহিংসার রাজনীতি একজন জুলাই আন্দোলনকারী হিসেবে আমি কোনোভাবেই আশা করিনি!
অন্ধভক্তি যতটা খারাপ, অন্ধ বিরোধীতাও ততটাই খারাপ! যারা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে এক চোখে দেখে তাদের রাজনৈতিক উত্থান দেশের জন্য ভয়ঙ্কর। উগ্র ডানপন্থার উত্থানের জন্য আমরা জুলাই এ রাস্তায় নামিনি। দেশের এমন ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার জন্য আমরা এই সরকারকে ক্ষমতায় বসাইনি। জুলাই এর সাথে গাদ্দারি করে বড় বড় কথা বলা নেতাদের রাজনীতি ধ্বংস হোক!
এ ব্যাপারে শরৎ সাহার সাথে একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নীরব রায়হানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শরৎ সাহার পদত্যাগের বিষয়টি আপনার থেকেই প্রথম শুনলাম। আর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের কোন নিয়ম নাই। পদত্যাগ করতে হলে সংগঠনের প্যাডে সদস্য সচিবের বরাবর লিখিত ভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :