সততার এক অনন্য নজির স্থাপন করে প্রশংসায় ভাসছেন জামায়াত কর্মী মো : আব্দুল জলিল।
গত ২২ আগস্ট শুক্রবার মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদী গ্রামের ব্যবসায়ী শফিক হাজীর স্ত্রী আড়াইহাজার বাজারে ডাক্তারর দেখিয়ে যাওয়ার সময় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে টাকা পরিশোধ করতে গেলে অগত্যা তার মানিব্যাগ থেকে কিছু স্বর্ণ রাস্তায় পড়ে যায়।
বিকেলে আড়াইহাজার পৌরসভার ছোট দিঘিরপারের জামায়াত কর্মী মো : আবদুল জলিল মিয়া ব্যক্তিগত কাজে বাজারে আসলে দোকানের সিড়িতে স্বর্ণের কিছু অলংকার পড়ে থাকতে দেখে। এসময়ে তিনি আশেপাশের লোকজনের নিকট এর মালিককে খুঁজতে থাকে। কিন্তু কেউ এর প্রকৃত মালিক না হওয়ায় বিষয়টি তিনি তাৎখনিক আড়াইহাজার উপজেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমির মাওলানা হাদিউল ও সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ সাহেবকে অবগত করেন। জামায়াত আমীর মাওলানা হাদিউল ইসলাম ও সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে কিছু স্বর্ণ পাওয়া গিয়েছে এই মর্মে প্রচার করার পরামর্শ দেন।
এ পরামর্শের ভিত্তিতে তিনি তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। ফেসবুকে এই সংবাদ পেয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদী গ্রামের ব্যবসায়ী শফিক হাজীর স্ত্রী তার স্বামীর মাধ্যমে জলিল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে তাদের হারিয়ে যাওয়া অলংকারের বিবরণ দেন। তাদের দেওয়া বিবরণ মিলে যাওয়ায় তিনি জামায়াতের আমীর মাওলানা হাদিউল ইসলাম এর মাধ্যমে আড়াই হাজার বাজারের কিছু ব্যবসায়ীর উপস্থিতিতে উক্ত অলংকারগুলো হস্তান্তর করেন।
জামায়াতের আমীর মাওলানা হাদিউল ইসলাম মহান রাব্বুল আলামিনের প্রশংসা করে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আব্দুল জলিল মিয়া একজন নিবেদিত জামায়াত কর্মী। তার স্ত্রী জামায়াতের মহিলা রুকন। তার একমাত্র মেয়ে ইসলামি ছাত্রী সংস্থার একজন কর্মী। জামায়াত তাদের কর্মীদেরকে এভাবে আল্লাহভীরু ও সৎ করে গড়ে তুলে। আজ তারই প্রমাণ রাখলো জামায়াত কর্মী মো : আব্দুল জলিল।
তিনি জলিল মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার এই সততার পুরস্কার হিসেবে মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাদের সবাইকে স্বপরিবারে জান্নাতুল ফেরদৌসে জায়গায় করে দেন। এবং এ কাজে যারা সৎ পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের জন্য উত্তম প্রতিদান কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :