৩ ডিসেম্বর স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা, অভিজ্ঞতা ও উন্নয়নমূলক চাহিদাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, মদনপুর নাজিম উদ্দিন ভূইয়া কলেজ - সারাদিনব্যাপী জনমত গ্রহণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে আয়োজিত এই উদ্যোগে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে শিক্ষা, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা, যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও স্থানীয় সেবা-ব্যবস্থা নিয়ে তাদের মতামত ও প্রত্যাশা ক্যানভাসে লিখিতভাবে তুলে ধরেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা জানাই আমাদের প্রকৃত লক্ষ্য। যে পরিবর্তন মানুষ দেখতে চায়, তাদের কাছ থেকেই তা সরাসরি জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অবকাঠামো, সড়কব্যবস্থা, নগরসেবা, স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা-এসব ক্ষেত্রেই নাগরিকের প্রত্যাশা ও বাস্তব সমস্যার প্রতিফলন অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্টভাবে উঠে আসে না। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নকশা, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি এবং উন্নয়ন কাঠামোয় সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বর্তমান বাস্তবতায় এই অভিজ্ঞতা নারায়ণগঞ্জের মানুষসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা গেছে, যেখানে প্রান্তিক মানুষের বাস্তব সমস্যার সঙ্গে মিল না থাকায় অনেক প্রকল্প টেকসই হয়নি বা সাধারণ মানুষের উপকারে সম্পূর্ণভাবে আসতে পারেনি।
জনসাধারণের মতামতের গুরুত্ব আজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। নাগরিকদের প্রত্যাশা, অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব সমস্যাকে মূল্যায়ন করে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করাই এখন সময়ের দাবি। “জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাস” উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ সরাসরি লিখিতভাবে জানাতে পারছেন তারা কী পরিবর্তন চান, কোন সমস্যাগুলো সমাধান জরুরি এবং স্থানীয় উন্নয়নে কী ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রাপ্ত লিখিত মতামতগুলো যথাযথভাবে অগ্রাধিকার অনুযায়ী বিশ্লেষণ করা হবে, যা ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে দিকনির্দেশক কাঠামো হিসেবে কাজ করবে।
জনতার প্রত্যাশার ক্যানভাস নারায়ণগঞ্জে নাগরিকদের অংশগ্রহণমূলক মতামত সংগ্রহের একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ তাদের চাহিদা, সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মত প্রকাশ করবেন। পরবর্তীতে এসব মতামতকে প্রাথমিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নানা উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে-এটাই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।








































আপনার মতামত লিখুন :