নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর মেট্রোহল এলাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখন অস্থায়ী বাস টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মেট্রোহল এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে থামিয়ে রাখা হচ্ছে দূর-পাল্লার বিভিন্ন বাস। এসব বাসের অধিকাংশের নেই কোনো রুট পারমিট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে রাখায় নানা ধরনের দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। তাই এরজন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। কারণ প্রতি বছর এখানে বাস টার্মিনালের জন্য ইজারা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। যদিও সিটি করপোরেশন বলছে, মেট্রোহল এলাকার সকল সড়ক দখল করে টার্মিনাল করার জন্য তারা ইজারা দেয়নি।
মেট্রোহল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিগত বছরগুলোতেও এখানে বাস টার্মিনাল ছিলো। তবে তখন যারা ইজারা নিতো তারা বেপরোয়াভাবে সড়ক দখল করে রাখত না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নাসিক নতুন করে এখানে বাস টার্মিনালের জন্য দরপত্র আহবান করলে যুবদল নেতা টেন্ডার পান। এরপর থেকে এই টার্মিনালকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকে।
খানপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শিশির অভিযোগ করে বলেন, মেট্রোহল থেকে একটি রাস্তা কালিরবাজারের দিকে যায়। এই রাস্তাটা ব্যস্ত সড়ক। কিন্তু দেখবেন এর দুটি লেনই তারা দখল করে রাখে। এছাড়া আশেপাশের সড়কেও একই অবস্থা। বাস এভাবে থামিয়ে রাখে যে ফুটপাতও আপনি ব্যবহার করতে পারেনা কেউ। সেখানে দিনে দুপুরে মাদকের ব্যবসা চলে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যাতে করে তারা বিষয়টার দিকে একটু নজর দেয়।
অভিযোগ করে পথচারী বলেন, রাস্তায় যদি সারাদিন গাড়ি থামিয়ে রাখে তাহলে সমস্যা তো হবেই। এখানে এভাবে বাস থামিয়ে রাখার কারণে বাচ্চাদের স্কুলে নেয়ার সময় মূল সড়ক দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। ফুটপাত একেবারেই ব্যবহার করা যায়না। টার্মিনালের লোকজন রাস্তাকে টয়লেট বানিয়ে ফেলেছে। এখানে মাদক সেবনও হয়। এটা তো কোনো পরিবেশ হতে পারেনা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাজার কর্মকর্তা জহিরুল হক এ বিষয়ে বলেন, আসলে এখানে তো টার্মিনাল হওয়ার কোনো কথা না। তারপরও এটা হয়ে আসছে। আমরা তো ইজারা দেই একটা নির্দিষ্ট স্থানে। তবে সেটা তো মানা হয়না। কোথাও মানা হয়না। শুধু যে খানপুরে সেটা না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি ইজারা বাতিলও হতে পারে।








































আপনার মতামত লিখুন :