নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দুইজন হেভিওয়েট নেতা। একজন সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী ও অপরজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম। তবে ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি এখানে জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়ত নেতা মনির হোসাইন কাসেমীর নাম ঘোষণা করেন।
শাহ আলম ও মোহাম্মদ আলী দুজনেই প্রত্যাশা করেছিলেন দল থেকে তাদের মনোনয়ন দিবেন। দলের হাইকমান্ডের ওপর তারা দুজনই আশাবাদী। ১৯৯৬ সালের এক তরফা নির্বাচনে মোহাম্মদ আলী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহ আলম অল্প ভোটে ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি ২০১৮ সালের দলের মনোনীত হয়েও জোটের প্রার্থীর কারণে প্রত্যাহার করতে হয়।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এলাকা জুড়ে এই আসনটি নির্বাচনী এলাকা। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সরগরম করেছেন মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে ফতুল্লা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে নিজের জাগান দিয়েছেন শিল্পপতি শাহ আলম। জোটের প্রার্থী বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আলী ও শাহ আলমকে এগিয়ে থাকবেন এই নিয়ে রয়েছে একাধিক বিশ্লেষণ।
এদিকে আরও জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী ও শিল্পপতি শাহ আলম মধ্যে কেউ একজন নির্বাচন করতে পারেন। তাদের সমঝোতা মাধ্যমে বিএনপি সিদ্ধান্ত বৃদ্ধাঙ্গুল দেখা পারে জনগণ। শিল্পপতি শাহ আলম প্রবীন নবীনদের মাঝে জনপ্রিয়তা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপি একাংশ নেতারা শাহ আলমকে নিয়ে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন।
মোহাম্মদ একাধারে একজন রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি ও একজন মুক্তিযোদ্ধাও বটে। তিনি দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সাবেক সহ সভাপতি, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
১৯৯৬ সালের জুন মাসে তিনি শামীম ওসমানের কাছে হেরে যাওয়ার পর তাকে আর বিএনপিতে তেমন করে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়নি। তবে তার দপ্তরে প্রায় সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের আনোগোনা থাকতো প্রায় ১২ মাসই। পর্দার অন্তরালে থেকে তিনি প্রায় সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই নিয়ন্ত্রণ করতেন। আর এ জন্যই তাকে বলা হতো, নারায়ণগঞ্জের কিং মেকার।


































আপনার মতামত লিখুন :