২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বন্দরের ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় নিহত স্কুল শিক্ষার্থী আলিফার (১২) বাড়িতে তার স্বজনদের সাথে দেখা করতে যান গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন। এরপর তিনি বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মুক্তার আশরাফের সাথে মামলার তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন।
আলিফার স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তরিকুল সুজন বলেন, আমরা আলিফা'র পরিবারের পাশে আছি। ৫ম শ্রেণির ছাত্রী শিশু আলিফাকে হারানোর ক্ষতি অপূরনীয়। আলিফা'কে হারানোর শূণ্যতা কোনভাবেই পূরন করা সম্ভব নয়। আমরা আর কোন মায়ের বুক খালি হতে দেব না। এবং আলিফা'র হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। বন্দরকে মাদক-কিশোর গ্যাং মুক্ত করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বন্দর থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফকে তরিকুল সুজন বলেন, শিশু আলিফা'র হত্যাকাণ্ডের দায় কোনভাবেই প্রশাসন এড়াতে পারে না। এই হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা শহর-বন্দরের মানুষকে হতবাক এবং বাকরূদ্ধ করেছে। সমগ্র বন্দর একটা ক্রাইম জোনে পরিণত হয়েছে। কিশোর গ্যাং, মাদক বাণিজ্য বন্দরের জনজীবনকে তছনছ করে দিচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বন্দরবাসী আইনের প্রতি, প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আমরা বিশ্বাস করি, আলিফা'র স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদ প্রশাসনের কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। প্রশাসন কোন টালবাহানা না করে, অতিদ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে এবং বন্দরের আইনশৃঙ্খলা উন্নতি ঘটাবে।
এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানরের সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, জেলার প্রচার সম্পাদক শুভ দেব, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সাবেক সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা।
উল্লেখ্য, রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে পাশের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় আলিফা। পরবর্তী ১৮ ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর সোমবার ভোর ৬ টায় পাশের বাড়ির উঠানে আলিফার মরদেহ পাওয়া যায়।






































আপনার মতামত লিখুন :