News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

টিটুর স্বেচ্ছাচারিতায় ফুটবল মাঠ হারিয়েছে নারায়ণগঞ্জ


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম টিটুর স্বেচ্ছাচারিতায় ফুটবল মাঠ হারিয়েছে নারায়ণগঞ্জ

দেশের আটটি জেলায় ফুটবল উন্নয়নের জন্য জেলা পর্যায়ের ফুটবল স্টেডিয়ামকে বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার। আটটি স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বাফুফে’কে লিজ প্রদান করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বরাদ্ধ পাওয়া এসব স্টেডিয়ামের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ, কর পরিশোধ ও বিদ্যুৎ বিল বাফুফে’কে বহন করতে হবে। এর ফলে, এসব স্টেডিয়ামে বাফুফে’র অর্থায়নে হয়ে উঠবে আধুনিক। একই সাথে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো ফুটবলে হয়ে উঠবে সমৃদ্ধ।

সম্প্রতি নীলফামারি, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও সিলেট জেলার স্টেডিয়ামকে বাফুফে’র কাছে লিজ প্রদান করা হয়েছে। অথচ ঢাকার সবচেয়ে কাছের জেলা নারায়ণগঞ্জ রয়ে গেছে অবহেলিত। নারায়ণগঞ্জ থেকে মোনেম মুন্না থেকে শুরু করে অসংখ্য তারকা ফুটবলার তৈরি হয়েছে এই জেলায়। জাতীয় ফুটবলের পাইপলাইন বলা হতো নারায়ণগঞ্জকে। সেই নারায়ণগঞ্জকে তালিকায় না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

তালিকা প্রকাশ হবার পর আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ সংগঠনের ব্যানারে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামের দাবি তুলেছেন তিনি। তার এই দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছেন বহু ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়া সংগঠকরা। তবে নারায়ণগঞ্জকে কেন এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি সেই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সম্রাট হোসেন এমিলি।

এমিলি বলেন, আমাদের ফুটবল স্টেডিয়ামকে তিলে তিলে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। একটি আদর্শ ফুটবল গ্রাউন্ডের জন্য ১২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭৫ মিটার প্রস্থ জায়গা দরকার। প্রথমে ক্রিকেটের জন্য আলাদা স্টেডিয়াম করে ফুটবল স্টেডিয়ামের দক্ষিন দিক থেকে জায়গা নিয়ে নেয়া হয়েছে। এরপর উত্তর দিক থেকে জিমনেশিয়ামের জন্য আরো জায়গা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সম্ভবত ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের মাঠ আছে। যা দিয়ে কোনভাবেই আদর্শ ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মান করা সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত এসেছে ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিটুর মাধ্যমে। শামীম ওসমানের শ্যালক হওয়ার সুবাদে জায়গা অদল বদল আর ইচ্ছেমত ব্যবহার করে পুরো ফুটবলকে ডুবিয়ে দিয়ে গেছে। এখন ডিএফএ (ডিস্ট্রিক্ট ফুটবল এসোসিয়েশন) হয়ে পড়েছে ক্ষমতাহীন। সরকার থেকে এগিয়ে না আসলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। আমরা চেষ্টা করছি ফুটবল স্টেডিয়ামের জায়গা বড় করা যায় কিনা। কিন্তু সেটা সময় সাপেক্ষ। নারায়ণগঞ্জে ফুটবলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিলো। কিন্তু পুরোনো হর্তাকর্তাদের কারনে সব নষ্ট হয়ে আছে। 

ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক খেলোয়াড়রা বলছেন, ক্রীড়া সংস্থার জায়গা ইচ্ছেমত ব্যবহার আর অর্থ নয়ছয় করে নারায়ণগঞ্জ ক্রীড়া জগৎ নষ্ট করে দিয়ে গেছে শামীম ওসমানের শ্যালক টিটু। নারায়ণগঞ্জের মত সম্ভাবনাময় একটি জেলাকে ক্রীড়াঙ্গণে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে তারা। যার মাশুল এখন দিতে হচ্ছে বর্তমান কমিটি ও খেলোয়াড়দের। কোনভাবেই ক্ষতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। এর অন্যতম উদাহরণ গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ স্থান পেলেও নারায়ণগঞ্জ সেখানে স্থান পায়নি।

Islam's Group