News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

১৫ দিনে হাসপাতালে শতাধিক ডেঙ্গু রোগী


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম ১৫ দিনে হাসপাতালে শতাধিক ডেঙ্গু রোগী

নারায়ণগঞ্জে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। গত আগস্ট মাসে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১১৬ জন রোগী। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ১০৮ জন রোগী। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা।

সোমবার নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের কোন ওয়ার্ডের বেডই খালি নেই। ডেঙ্গু ওয়ার্ড থেকে রোগী সরিয়ে তাদের সার্জারি সহ অন্যান্য ওয়ার্ডে রেখে সেবা দেয়া হচ্ছে। কেবিনের জন্য রোগীর স্বজনরা ধর্না দিচ্ছেন নার্সদের কাছে। কিন্তু কিছুতেই মিলছে না খালি বেডের সন্ধান। একের পর এক রোগী আসছেন সমস্যা নিয়ে। কেউ বমি করছেন, কারও পেটে যন্ত্রণা, কেউ খাবার খেতে পারছে না, কারও স্যালাইন প্রয়োজন সহ নানাবিধ সমস্যা। সব মিলিয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু রোগীদের সেবাকেন্দ্র।

শুধু ওয়ার্ডেই সীমাবদ্ধ নেই। জরুরি সেবা নিতে আসা রোগীরা ফ্লোরে শুয়েই নিচ্ছেন স্যালাইন। জরুরি ইউনিটের বেডে শুয়ে আছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। ঔষধের জন্য বার বার ছোটাছুটি করছেন ফার্মেসি আর ডাক্তারের চেম্বারে। রোগীদের জন্য ডাবের পানি উপকারী হওয়ায় সেই চাহিদা বেড়েছে অনেক। সুযোগ পেয়ে ডাবের দাম হাকা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। বাধ্য হয়ে সেই দামেই ডাব কিনে নিচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। মশার কামড়ে এমন করুন চিত্রের নেপথ্যে সিটি করপোরেশনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন লোকজন।

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তামান্না আক্তার বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে যেই রোগী এসেছিলো, এই মাসের ১৫ দিনেই সেই পরিমাণ রোগী চলে এসেছে। আমাদের কোন ওয়ার্ড এখন আর খালি নেই। কোন রোগী রিলিজ নিলে দ্রুতই সেখানে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। শহরের দেওভোগ, পাইকপাড়া, গলাচিপা এসব এলাকার রোগী বা সিটি করপোরেশনের এলাকার রোগী বেশি পাচ্ছি।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হটস্পট চিহ্নিত করার পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে তথ্য নিচ্ছি কোন কোন এলাকা থেকে ডেঙ্গু রোগী আসছে। সেখানে আমাদের কর্মী পাঠিয়ে মশা নিধনের কাজ করছি। মানুষ যদি সচেতন ভাবে ডেঙ্গু মশা বিস্তার রোধে এগিয়ে আসে তাহলেই সম্মিলিত ভাবে এই মশার রোধ বিস্তার করা সম্ভব।’

Islam's Group