নারায়ণগঞ্জে যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, শীতলক্ষ্যাকে দূষণ মুক্ত করা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে দালালমুক্ত করাসহ জেলার উন্নয়নে নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
মঙ্গলবার ১৫ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক।
এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, সেক্রেটারি আফজাল হোসেন পন্টিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পরে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ যেটা মনে হয়েছে সেটা হলো যানজট। আমরা ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে ১২ টি স্পট নির্ধারণ করেছি। ওইসব স্পট থেকে অটোরিকশাগুলো ঘুরিয়ে দিব। আমরা যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে মীর জুমলা সড়ক দখলমুক্ত করেছি। নারায়ণগঞ্জের আরো একটি বড় সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। ৯৩ কিলোমিটার খালের মধ্যে ১৭ কিলোমিটার দখল হয়ে আছে। এসব খাল দখলমুক্তে আমরা প্রকল্প জমা দিয়েছি। ওই প্রকল্পের অনুমোদন পেলে খালগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান হবে। শীতলক্ষ্যা নদী দূষণমুক্ত করতে সরকারের কাছে প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সরকারের উর্ধতনদের সঙ্গে কথা বলবো। এ বিষয়ে মিডিয়ার ভূমিকা ও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দেন ডিসি। এছাড়াও সরকারি সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে দালালমুক্ত করতে ও সেবার মান বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, নারায়ণগঞ্জে ৩০০ শয্যায় আইসিইউ চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও অত্র হাসপাতালে বখাটে মাদক সেবী অনুপ্রবেশ বন্ধে আনসার ক্যাম্প স্থাপন প্রক্রিয়াধীন। সেখানে ৩০ জন আনসার অবস্থান করার মতো কক্ষও প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশে মাদক একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এটিকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করার কোন বিকল্প নাই। নারায়ণগঞ্জের জেলা কারাগারে ১৩ শতাধিক বন্দীর মধ্যে অন্তত ৫০০ জন মাদক সম্পৃক্ত মামলায়। শহরের চাষাঢ়া মোড়, বন্দরের ১০টি পয়েন্টসহ মোট ২৮টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ক্লিন সিটি গড়ার জন্য উপজেলা পর্যায়েও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করতে ইউএনওদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জকে বাচাতে হলে সবুজায়নের বিকল্প নাই। আমরা ১ লাখ গাছ লাগিয়েছি তার মানে এমন নয় যে আর লাগাবোনা। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও আমরা প্রায় ১৪ একর সরকারি জমি উদ্ধার করেছি যার বাজারমূল্য অন্তত ৩২ কোটি টাকা।
সভায় জেলা প্রশাসক তিনি যোগদানের পরে গত ৬ মাসে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এবং যেসব কাজ চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আপনার মতামত লিখুন :