নারায়ণগঞ্জে পাঁচ দফা দাবীতে নগরভবন ঘেরাও ও সিটি করপোরেশনে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় নগরভবন ঘেরাও করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে জনভোগান্তি বিহীন পরিকল্পিত উন্নয়ন, মেট্রোরেল বাস্তবায়ন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, দুর্গন্ধ বিহীন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ না করা পর্যন্ত পানি কর প্রত্যাহার, গলাচিপা জামতলা মাসদাইর ও গুদারাঘাট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাঁচ দফা দাবী পেশ করেন ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
খোরশেদ বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবীতে নগরভবন ঘেরাও করেছি। আমাদের বর্তমান প্রশাসক যথেষ্ট গতিশীল। তবে আমরা সকল বিভাগে এই গতিশীলতা আশা করি। আমরা চাই সিটি করপোরেশন যেন অতীতের মত মানুষের পাশে থাকে। আমরা জন ভোগান্তিহীন উন্নয়ন চাই। আমরা দেখছি ঠিকাদারদের ধীরগতির কারণে ড্রেন সংস্কারের দুই মাসের কাজ ছয় মাসেও শেষ হচ্ছে না। ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যাচ্ছে না। আমরাও জানি উন্নয়নকালে কিছুটা ভোগান্তি হয়। তবে এটা মাসের পর মাস চলতে পারে না। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেলের ব্যবস্থা করা হোক। নারায়ণগঞ্জ এক রাস্তার শহর। এখানে সড়ক বর্ধিত করতে হলে ভার্টিকালি করতে হবে। মেট্রোরেল বা আন্ডারগ্রাউন্ড রেলের মাধ্যমে এটা করতে হবে। ডেঙ্গুর বর্তমানের প্রকোপ নির্মূলে আধুনিক পদ্ধতি গবেষণা করে দেখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। ডেঙ্গুর নামে যেটা পরিচিত এটা ডেঙ্গুর পাশাপাশি অন্য কোন ভাইরাস কীনা এটাও গবেষনা করে দেখা দরকার। কারণ মশার উপস্থিতি আগের চেয়ে কম তবে ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া বেশি। নতুন কোন ভাইরাস তৈরি হচ্ছে কীনা তা গবেষণা করে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা দুই বছর যাবৎ টাকা দিয়ে ময়লা পানি খাচ্ছি। এই পানি দিয়ে হাত পাও ধোয়া যায় না। তারা যেহেতু বিশুদ্ধ পানি দিতে পারছে না। সেহেতু পানির বিল বন্ধ রাখা হোক। আপনারা জানেন হয়ত এই পানির বিল দুই দফায় দিতে হয়। দুই দফায় পানির বিল দিয়ে কেন আমরা ময়লা পানি খাবো। যতদিন তারা বিশুদ্ধ পানি না দিতে পারবে ততদিন এই পানির বিল বন্ধ রাখা হোক।
খোরশেদ বলেন, আগে বৃষ্টি হলে পানি চলে যেত৷ এখন জলাবদ্ধতা স্থায়ী হয়ে গেছে। আমার মায়ের নামে স্কুল বেগম রোকেয়া স্কুলে শিক্ষার্থী চৌদ্দ'শ সেখানে উপস্থিতি চার পাঁচশো। আগে এই পানি বিসিক খাল ও কল্যানী খাল দিয়ে বের হত। এখন সেই খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এই পানি অবিলম্বে শীতলক্ষ্যায় ফেলার ব্যাবস্থা করতে হবে। আমি গুদারাঘাট এলাকায় মানুষ মারা গেলে যেতে পারি না, দাওয়াতে যেতে পারি না। মানুষ বিয়ে সাদী করতেও অন্য এলাকায় যায়। আমি আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে আমার দায়বদ্ধতা থেকে এখানে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য নগরী চাই। আমার সন্তান যেন আমাকে দোষারোপ না করে যে আমার বাবা ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও নগর উন্নয়নের কাজে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু সে ব্যার্থ হয়েছে। আমরা পনেরো দিনের সময় দিচ্ছি।
এর পরে প্রয়োজনে আমরা আমরণ অনশন করবো। মানববন্ধন শেষে ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ সংগঠনের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।








































আপনার মতামত লিখুন :