News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২

ব্যালটের ছবি তুলে না দেখালে মামলার হুমকি!


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম ব্যালটের ছবি তুলে না দেখালে মামলার হুমকি!

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বিএনপিপন্থী নীল প্যানেলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে স্মারকলিপি দিয়েছে জামায়াতপন্থী সবুজ প্যানেল। যেখানে উঠে এসেছে গুরুতর বেশ কিছু অভিযোগ। বিএনপির প্রার্থীদের ভোট না দিলে মামলা, ছবি তুলে না দেখালে মামলার হুমকি সহ নানাবিধ হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। এমন অবস্থায় নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। জোরপূর্বক ভোট ম্যানুপুলেট করতে পারেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এমন অভিযোগ এনে সহায়তা চেয়েছেন প্রশাসনের।

২৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের প্যানেল। এর আগে স্মারকলিপি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিভাগীয় ডিআইজি, জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরন করা হয়। যেখানে অনুরোধ করা হয়, আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

স্মারকলিপিতে আইনজীবীরা উল্লেখ করেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে নীতিমালা অমান্য করে বন্দর ও রূপগঞ্জে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া। আদালত অঙ্গনের বাইরে হিমালয় চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সভা সমাবেশ ও আপ্যায়ন করা এবং উপঢৌকন দেয়া। ভোটারদের হুমকি ধামকি দেয়া। রঙ্গিন কার্ড বিতরণ করা। বিএনপি প্যানেলে ভোট না দিলে নির্বাচনের পরে মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি এবং প্রতিপক্ষ প্যানেলে ভোট না দিতে প্রকাশ্যে নিষেধ করা।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেবল বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের প্রচারণা চালানো ও বাকিদের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া। ভোট প্রদানের পরে মোবাইলে ছবি তুলে তা দেখানোর জন্য হুমকি দেয়া। জাল ব্যালট পেপার তৈরী করে সেখানে ভোট দিয়ে মূল ব্যালট পেপার বাইরে এনে বিএনপিপন্থী প্যানেলের প্রার্থীদের দেখানোর হুমকি দেয়া। আইনজীবীদের টাকা/উপঢৌকন দিয়ে ভোট দিতে জোড় করা। বহিরাগত সন্ত্রাসী ও লোকজন জড়ো করে পেশিশক্তি দেখানোর উদ্যোগ নেয়া।

এমন নানাবিধ অভিযোগ দেয়ার পরেও নির্বাচন নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন সবুজ প্যানেলের আইনজীবীরা। একাধিক প্রার্থী বলেন, পুরো নির্বাচনে আওয়ামী পরিবেশ ফিরে আশার শংকা দেখতে পাচ্ছি। যেভাবে আগে খোকন সাহা ও তাদের লোকজন কেন্দ্রের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করতো। ঠিক একই ভাবে প্রভাব বিস্তারের প্রিপারেশন দেখতে পাচ্ছি। সেই সাথে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো। ছবি তুলে দেখাতে বাধ্য করা। মামলার হুমকি দেয়া। এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। অন্তত আমাদের সহকর্মীদের কাছ থেকে এই আচরণ অপ্রত্যাশিত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্থাপিত এসব অভিযোগ আদৌও বাস্তবে দেখা যাবে কিনা প্রমাণ হবে ২৮ তারিখের নির্বাচনে। যদি পুরোনো আওয়ামী কায়দায় নির্বাচন আয়োজন করা হয় তাহলে কলংক বয়ে বেড়াবে শক্তিশালী প্যানেলের অধিপতিরা। আর যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে তাহলে মুছবে আইনজীবী সমিতির এতদিনের কালিমা। নেতারা কি পুরোনো পথেই হাটবেন নাকি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবেন তা দেখার অপেক্ষায় আছেন সবাই।

Islam's Group