নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন। সকল পর্যায়ের আইনজীবীদের মাঝেই রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা। সেই সাথে বিএনপির রাজনীতিতেও রয়েছে তার ত্যাগ। আইনজীবীদের মুখে রয়েছে তার সাহসিকতার প্রশংসা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবীদের এবারের নির্বাচনে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির এবং অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন। আর এবারের নির্বাচনে সকল পর্যায়ের আইনজীবীদের মাঝেই তিনি আলোচনায় রয়েছেন। সকল পর্যায়ের আইনজীবীরাই যেন তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আদালতপাড়া সূত্র বলছে’, বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে একজন সক্রিয় আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সকল কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয় ভূমিকায় থাকতেন। আদালতপাড়ায় বিএনপির কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছিলেন। তারপরও তিনি কর্মসূচি থেকে দূরে থাকেননি। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় সবসময় বিএনপির অবস্থান জানান দিয়েছেন।
বর্তমানে আদালতপাড়ায় অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নের ভূমিকা সকলের মুখেই আলোচিত হচ্ছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই অনেক বার আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন পদে আইনজীবীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি কঠিন সময়ে ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী হিসেবে লড়াই করে আলোচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে সেই মামলায় মামুনুল হক খালাস পেয়েছেন।
একই সাথে সিনিয়র আইনজীবী ও বর্তমান ফোরামের আহবায়ক জাকির হোসেন সাহেব গ্রেফতার হয়ে কোর্টে আনলে ওকালত নামায় স্বাক্ষর করার মত কোন আইনজীবী ছিল না, তখন আমিই ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেছি। অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা এবং সিদ্ধিকুর রহমানকে যখন চেম্বার থেকে ডিবি পুলিশ নিয়ে গিয়েছিলো তখন কেউ যাওয়ার সাহস পায়নি। নয়ন সেদিন ছুটে গিয়েছিলেন।
তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান গ্রেফতার হয়ে প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা বিনা মামলায় এসপি অফিসে আটক রয়েছিলেন। তখন বিএনপির কোন সিনিয়র আইনজীবী আসেননি। ঠিক সে সময় অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, অ্যাডভোকেট ফাহিম, অ্যাডভোকেট বিথি, অ্যাডভোকেট রায়হান সহ ৭ থেকে ৮ জন নিয়ে দুঃসাহসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তৎকালীন এসপি রাসেলের সাথে অ্যাডভোকেট নয়ন উচ্চবাচ্য করে সাখাওয়াত সাহেবকে ছাড়িয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ বারের একটি বিগত নির্বাচনে গডফাদার শামীম ওসমান অ¯্রধারী সন্ত্রাসী পাঠায় অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধানকে উঠিয়ে নিতে; সেদিনও অ্যাডভোকেট নয়ন নিজের জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে অ¯্রধারীদের হাত থেকে আনোয়ার প্রধানকে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার এসকল সাহসী ভূমিকার প্রতিদান হিসেবে আইনজীবীরা তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন প্রত্যাশা আইনজীবীদের।
আপনার মতামত লিখুন :