নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহীদ-আহত সেলের ব্যানারে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন।
তিনি বলেন, ু৫ আগস্টের পর থেকে আমরা যারা রাজনীতিতে আছি, আমাদের এখন ফ্যাসিস্ট, ভারত ও দেশীয় জালিমদের বিরুদ্ধে এক হতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ না হলে কোনো দলই দেশের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, ুআওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ফ্যাসিস্টরা যেন নতুন ফরমেটে রাজনীতিতে ফিরে না আসতে পারে, তা রুখতে হবে। বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার ভারতীয় প্রচেষ্টা আর সফল হতে দেওয়া হবে না।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী বলেন, ুশুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একদল মানুষ মায়েদের বুক খালি করেছে। তারা জনগণের টাকায় গুলি কিনে জনগণের ওপরই চালিয়েছে। আমরা সেই সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি, যা ক্ষমতায় থাকার নামে হত্যাকে বৈধতা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, ুআমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো সরকার আর জনগণের বুকে গুলি চালানোর সাহস করবে না। জুলাই সনদ ও রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে হবে।”
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ুজুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত অনেক মানুষ এখনো হাত, পা, চোখ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাঁদের দেখভালের বিষয়টি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ুশহীদ পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে, যেন তারা মর্যাদার সঙ্গে টিকে থাকতে পারেন।”
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সচিব মো. নূর কুতুবুল আলম বলেন, ুজুলাইয়ের অভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তারা কোনো লোভে নয়, বরং বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্নে রাজপথে নেমেছিলেন। এখন যদি সেই পরিবর্তন না আসে, তবে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব জাবেদ আলম। তিনি বলেন, ুজুলাই-আগস্টের যে স্মৃতি ও আত্মত্যাগ, তা কোনো সরকার বা নতুন স্বৈরাচার মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হান, এনসিপির সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল খায়ের, জেলা এনসিপির সদস্য মোছা. সোনিয়া আক্তার লুবনা, সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সংগঠক সিয়াম হাওলাদার এবং মারকাযুল হানাফী মাদরাসার পরিচালক মুফতি নোমান কাসেমী প্রমুখ।








































আপনার মতামত লিখুন :