টাকার অভাবে নগরবাসীকে কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছেনা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। জনবল সংকট থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন জায়গায় দুর্বলতা আছে প্রতিষ্ঠানটির। যার জন্য বিশেষ ভাবে দায়ী করা হচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় না হওয়া। নাসিকের প্রশাসক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের এমনটাই দাবি।
এদিকে নগর ভবন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, নাসিকের ২৭ টি ওয়ার্ডে প্রায় ৭০ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। এগুলো থেকে সঠিক ভাবে ট্যাক্স আদায় করা গেলে বা বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সময়মতো ট্যাক্স পরিশোধ করলে নাসিকের কোষাগার ফুলে ফেঁপে উঠতো এবং এতে করে নগরবাসীকে কাঙ্খিত সেবাও দেয়া যেতো। তবে এখনো সিটি করপোরেশন ২৭ টি ওয়ার্ডে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ট্যাক্স পাওনা আছে।
ট্যাক্স আদায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বল প্রয়োগ করেও বিগত দিনে পাওনা কর আদায় করা যায়নি। তাই নতুন প্রশাসক ট্যাক্স আদায়ের জন্য সম্পত্তি ক্রোকের চিন্তাভাবনা নিয়ে এগুচ্ছে। তবে এখানেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। কারণ ট্যাক্স না দেওয়া হোন্ডিংয়ের মধ্যে প্রায় ৮ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানও আছে। এগুলো হলো, রাজধানী উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বাংলাদেশ রেলওয়ে, জুট কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, বি.টি.এম.সি, জেলা প্রশাসনসহ আরও দুটি প্রতিষ্ঠান।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কর আদায় বিভাগের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, যাদের ট্যাক্স বকেয়া তাদের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন রয়েছে তেমনি অনেক বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ আমাদের নেই কারণ তারাও নগরবাসীর সেবায় নিয়োজিত। তবে বড় বাণিজ্যিক, আবাসিক ভবন ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাওনা নিয়ে আমরা সিরিয়াস। আমাদের তালিকায় এমন ৮০০ স্থাপনা রয়েছে যাদের কাছ থেকে মোটা অংকের কর সিটি করপোরেশন পায়। সবাই সিটি করপোরেশন থেকে সেবা চায়। কিন্তু আমরা কর না পেলে কিভাবে সেবা দিবো?
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমাদের অনেক টাকা টেক্স পাওনা। যাদের কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা সিটি করপোরেশন পাওনা আছে তাদের বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করছি তাদের সাথে বসে আদায় করা যায় কিনা। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তাহলে সম্পত্তি ক্রোক করার চিন্তা ভাবনা আছে আমাদের।








































আপনার মতামত লিখুন :