নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় একটি মামলার জের ধরে বাবা, মা ও শিশু সন্তানদের মারধরের ঘটনায় অবশেষে মামলায় জামিন পেয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান সহ ৬ জন। ৩০ অক্টোবর অতিরিক্ত চিফ জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১০০ টাকা বন্ডে চার্জশীট পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ২৮ অক্টোবর রাতে ওই মামলা রুজু হয়। মামলায় সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০) সহ অপর বিবাদীরা হলেন ইসমাইল (৪৬), হিরন (৩৮), শাহালম (৪৮), টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারি (৩৫), অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম (৪০), আলামিন শাহা (৩৯) এবং বিল্লাল হোসেন (৩৮)। এছাড়া মামলায় আরও ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রকাশ্যে রাজিয়া সুলতানা (৩৮) নামে নারীকে প্রকাশ্যে মারধর, শ্লীলতাহানি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সাথে তাদের মারধরে রাজিয়া সুলতানার স্বামী মো. ইরফান মিয়া (৪২), তার ছেলে জিদান (১৭) ও শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৫) আহত হয়েছে। এই ঘটনার পরপর রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলার কারণ সম্পর্কে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ইসমাইলের কাছে ২৫ লাখ টাকা পাওনা। ওই টাকা নিয়ে তালবাহনা করা হচ্ছিল। আমরা আমাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান আমার দায়েরকৃত মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন। তিনি এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আগে থেকেই আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিলো। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্বামীকে খুন করে বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে। এদিন আদালতে গেলে আমাদের উপর এই নৃশংস হামলা করা হয়।”
রাজিয়া সুলতানা বলেন, “আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার জুনিয়ররা ও মুহুরী মিলে আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে এবং আমার শরীর ও লজ্জাস্থানে আঘাত করে শ্লীলতাহানি করে। আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলার সময় আমার দুই ছেলে জিদান ও শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ বাধা দিতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করা হয়। আমার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহর মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছে।”
সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম বলেন, “মূলত বাদী ও বিবাদীপক্ষের মধ্যে এই ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমাদের মুহুরীর উপর হামলা করেন। তখন আমরা এই ঝামেলা মিটমাট করার চেষ্টা করি। কিন্তু এটি সমাধান করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছি।”








































আপনার মতামত লিখুন :