নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আমার ও মহানগর বিএনপি সহ বিএনপির ইমেজ নষ্ট করার সুদূরপ্রসারী পরিকিল্পনার অংশ হিসেবে আমাকে আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে সেখানে আমার কোনো অংশগ্রহণ নাই।
নারায়ণগঞ্জ আদালতে শিশু সন্তানদের সামনে বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাসুমের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত প্রত্যেককে ১০০ টাকা বন্ডে জামিন প্রদান করেন।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই আদালত প্রাঙ্গন সিসি ক্যামেরা দ্বারা বেষ্টিত। যদি কোথাও আমার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে আমি যে কোনো শাস্তি পাতা পেতে নিয়ে রাজী আছি। এই ভিডিওতে যিনি প্রশ্ন করেছেন তিনি গত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার সাথে বিএনপিরই একজন কালো টাকার মালিক শিল্পপতির ইশারায় আমাকে অপবাদ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি জানতে পেরেছি আমাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতা সরকারি উকিলদের বিভিন্নভাবে ফোন করে আমার এই মামলায় অবজেকশন দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এরপর আমাদের আর বুঝতে আর বাকী রইলো না এটার সাথে একটা ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং নব্যগঠিত একটি রাজনৈতিক দল এটার সাথে জড়িত। তাদের যোগসাজস রয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমি সারাজীবন আদালত প্রাঙ্গন পবিত্র রাখার চেষ্টা করেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছি। আর এখন আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে মামলার শুনানিতে যাওয়ার সময় রাজিয়া সুলতানা নামের এক নারী, তার স্বামী ও সন্তানদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় রাজিয়া সুলতানা (৩৮) তার স্বামী মোঃ ইরফান মিয়া (৫০) ও দুই পুত্র জিদান (১৮) এবং আব্দুল্লাহ (৫) আহত হন।
তখন রাজিয়া সুলতানা বলেছিলেন, আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার জুনিয়ররা ও মুহুরি মিলে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে এবং আমার শরীর ও লজ্জাস্থানে আঘাত করে শ্লীলতাহানি করে। আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে। আমার শিশুসন্তানকে মারধর করেছে।
এই ঘটনার দুইদিন পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ে করা মামলা নেয় পুলিশ।








































আপনার মতামত লিখুন :