ফগার ম্যাশিন কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কাজ মশক নিধনকর্মীদের। তবে বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গুরোগ বৃদ্ধির কারণে মশক নিধনকর্মী ছাড়াও অনেকে এই কাজ নিজ হাতে তুলে নিচ্ছেন। কেউ করছেন সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে। আবার কেউ কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এবং সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় লোক দেখানো মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে কাজের কাজ না হলেও ক্ষতি ঠিকই হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ শহরেও এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচনী উত্তেজনায় জনগণের দুয়ারে পৌছাতে এবং তাদের ভালোবাসা বা জনপ্রিয়তা পেতে রাজনৈতিক অনেক নেতাদের দেখা যাচ্ছে নিজ উদ্দ্যোগে মশক নিধন কর্মসূচী পরিচালনা করতে।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মডেল মাসুদ, আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল নিজ অর্থায়নে মশক নিধন কর্মসূচী পরিচালনা করেছেন।
জাকির খান, মহানগর বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান, আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আরো অনেকে সিটি করপোরেশনের ফগার ম্যাশিন নিয়ে পাড়া মহল্লায় গিয়ে ধোঁয়া ছিঁটাচ্ছেন।
তবে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, মশা মারতে রাজনীতিবিদ বা অন্য কেউ মাঠে নামুক এটা তারা চায়না। তারা ধরেই নিয়েছেন এগুলো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই করা হচ্ছে। প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে আর কেউ পরবর্তীতে এই কাজে এগিয়ে আসবেনা। তাই তারা চান সিটি করপোরেশনই এই সমস্যার সমাধান করুক।
জানা গেছে, প্রতিটি এলাকায় দিনের কোন সময় কতটুকু মশার ওষুধ দিলে তা এডিস মশার লার্ভা মারতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তার একটি আলাদা নিয়ম রয়েছে। যেমন মশার ওষুধ স্প্রে করতে হলে ভোর সকালের কিছু সময় পর সেটি করতে হয়। কারণ তখন মশার ডিম অপরিপক্ক অবস্থায় থাকে। ওই সময় ওষুধ দিলে ডিম থেকে আর মশার জন্ম নিতে পারেনা। তবে ভোর সকালের পর ওষুধ দিলে তখন আর লার্ভা ধ্বংস হওয়ার সুযোগ থাকেনা। ওই সময় শুধু ওষুধের অপচয় হয়। অন্যদিকে, পরিমাণের চেয়ে বেশি কোথাও ওষুধ দিলে প্রাণ প্রকৃতির জন্যও তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।








































আপনার মতামত লিখুন :