বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন কৃষকদের আহ্বায়কের দায়ের করা মামলায় কারাগারে গিয়েছেন বন্দর উপজেলা কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি মাকসুদ হোসনে মাসুদ। রোববার ২৩ নভেম্বর আদালতের জামিন আবেদন করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন না মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী কামাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের অনুসারী এবং কারাগারে যাওয়া মাকসুদ হোসেন মাসুদ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান এর অনুসারী। এ নিয়ে মুছাপুর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
কারাগারে প্রেরণের পূর্বে আসামি মাসুদ গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি করে আওয়ামী লীগের সময় মামলা খেয়েছি। এখনও মামলার আসামি হয়ে জেলে যেতে হচ্ছে। মাসুদুজ্জামান মাসুদ সাহেব এমপি না হয়েই দলের লোকদের জেলে পাঠাচ্ছে এমপি হলে কি করবে।
জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর মুছাপুরের যোগিপাড়া এলাকায় ফেস্টুন লাগানোকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক কামাল হোসেন (৪৮) আহত হয়। এ ঘটনায় কামাল হোসেন গণমাধ্যমে নারায়ণঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে দায়ী করে বক্তব্য রাখেন। সেই সাথে থানায় দায়ের করা অভিযোগে মাকসুদ হোসনকে প্রধান অভিযুক্ত করে অভিযোগটি দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দ প্রেমতলা এলাকায় প্রায় এক মাস আগে বিএনপি মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ এ র একটি নির্বাচনী ফেস্টুন স্থাপন করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী গত ১৩ নভেম্বর রাতে ওই ফেস্টুনের ওপর বিবাদীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের নির্বাচনী ব্যানার জোরপূর্বক সেঁটে দেয়।
অভিযুক্তরা হলেন মাকসুদ হোসেন (৫৮), তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (৩৫), মাইনউদ্দিন (৩৮), বিল্লাল (৩২), পানাউল্লাহ (৩৬), মাসুদ (৩৪), নাদিম (২৮), বিল্লাল (৩৫), নুর আলম (৩৪), রুবেল (৩৪), এবং রিয়াজুল (৩২)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে গণসংযোগকালে ব্যানার অপসারণের বিষয় নিয়ে মাইনউদ্দিন ও বিল্লালের সঙ্গে কামাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর একই দিন রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার সময় বন্দর থানার বাজুরবাগ এলাকার রুমান মিয়ার ফার্মেসীর সামনে পৌঁছালে মাকসুদ হোসেন ও মাহমুদুল হাসান শুভ'র নির্দেশে সকল বিবাদী দেশীয় অস্ত্ররামদা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় কামাল হোসেনসহ তাঁর সঙ্গে থাকা মহিউদ্দিন (৩৫) এবং শাকিল (৩২) গুরুতর জখম হন।
এ ঘটনার তিনদিন পর ১৮ নভেম্বর কামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেওয়া প্রধান অভিযুক্তকেই বাদ দেয়া হয়েছে দিয়ে অন্যদের রাখা হয়েছে।
রোববার ২৩ নভেম্বর আসামিরা জামিন আদালতে জামিন আবেদন করলে, আদালত অন্য আসামিদের জামিন দিয়ে মাকসুদ হোসেন মাসুদ কে কারাগারে প্রেরণ করেন।








































আপনার মতামত লিখুন :