নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মোহাম্মদ আলী। কিন্তু তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন নাকি বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সেটি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেননি। এ নিয়ে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২৯ নভেম্বর তিনি ঘোষণা দিতে পারেন। ইতোমধ্যে তিনি পোস্টারিং করেছেন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমি বিস্মিত ও হতবাক হচ্ছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাও কর্মীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনরোষের কারণে অংশগ্রহণ করতে ভয় পাচ্ছে সেখানে ফ্যাসিস্টদের প্রেত্মাতা এবং নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের দোসর ও উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ ও গডফাদার ওসমান পরিবারকে নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। তিনি একজন বহুরূপী ও নারায়ণগঞ্জের বহু অপকর্মের খলনায়ক। শুধু মাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নারায়ণগঞ্জের গডফাদার ওসমান পরিবারের ইঙ্গিতে পুনরায় ওসমান পরিবারকে নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত করতে চান মোহাম্মদ আলী। আমি জেলা, ফতুল্লা থানা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা কর্মীকে অপকৌশলকে রুখে দাঁড়াবার ও তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার জোর দাবী জানাচ্ছি। মোহাম্মদ আলীকে ক্ষমা করা মানে নিজের সাথে ও নিজ দলের এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে প্রতারণা করা। মোহাম্মদ আলী এখনো ওসমান পরিবারের সম্পদ পাহাড়া দেয়। গডফাদার সেলিম ওসমানকে তার ফতুল্লা প্রতিষ্ঠান উইজডম গার্মেন্টে বর্তমানেও আসা ও যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত মোহাম্মদ আলী নানা কারণে নারায়ণগঞ্জে বেশ আলোচিত মুখ। একই সাথে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সাথে সখ্যতার কারণে বেশ সমালোচিতও হয়েছেন তিনি। বিএনপি থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করার আগেই তাকে বিজয়ী করে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় পার্টির এমপি নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ নির্বাচনে প্রার্থী হন ছোট ভাই সেলিম ওসমান। প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক এমপি এস এম আকরাম। বিএনপির একটি সমর্থন ছিল আকরামের উপর। কিন্তু তখনই সেই পুরানো খেলায় মেতে উঠেন কিং মেকার খ্যাত মোহাম্মদ আলী। সেলিম ওসমানকে জয়ী করাতে মিশনে নামেন। বিএনপির সকলকে ডেরায় ডেকে নিয়ে নানা কৌশলে ম্যানেজ করান। বিএনপির প্রায় সকল স্তরের নেতাদের ম্যানেজ করে নামিয়ে দেন সেলিম ওসমানের পক্ষে। শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। ২৬ জুন উপ নির্বাচনে সেলিম ওসমানের জয়ের পর ফের চালকের আসনে বসে যান সেলিম ওসমান। জমজমাট হয়ে উঠে রাজনীতিতে আধ্যাতিক এ পীর সাহেবের দরবার। তাঁকে আসীন করা হয় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হিসেবে। পথচলায় পাশাপাশি থাকেন সেলিম ওসমান ও মোহাম্মদ আলী। কণ্ঠে তুলেন ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান’।
ওসমান পরিবারের পক্ষে থাকা এ মোহাম্মদ আলী এদিন পাল্টা কথা বলেন। জানান বিগত সময়ে তিনি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলতে পারেনি। অথচ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোহাম্মদ আলীর কণ্ঠে সব সময়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বন্দনা ছিল।








































আপনার মতামত লিখুন :