প্রবাদ আছে, রাজনীতিতে শেষ বলতে কিছু নেই। তার প্রমাণ আবারো দেখা মিলেছে বন্দর বিএনপি তিন নেতার দলবদলের কারিশমায়। ইতোমধ্যে তাদের দল বদল নিয়ে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা হলেন মহানগর বিএনপি সাবেক দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, সদস্য সুলতান আহম্মেদ ও ২০নং ওয়ার্ড বিএনপি সাবেক সভাপতি গোলাম নবী মুরাদ। তিনজনই বন্দরের আতাউর রহমান মুকুলের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী মঞ্চে ওঠায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৎকালীণ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল, আহবায়ক কমিটির সদস্য শওকত হাসেম শকু, আহবায়ক কমিটির সদস্য হান্নান সরকার, মো. গোলাম নবী মুরাদ ও সুলতান আহমেদকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি।
দীর্ঘ বছর পর পাঁচজনই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের সুপারিশে গত ১৯ নভেম্বর ও ৩০ নভেম্বর দুইটি বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত হন নব্য যোগদানকারী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তিনি গণসংযোগে নেতাদের উপস্থিতিতে দুইটি বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে মহানগর বিএনপি পাচঁজনকে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনে সুপারিশ করেন। দল বিবেচনা নিয়ে তাদেরকে বিএনপি প্রাথমিক সদস্য ফিরে দেন। এতে ১৯ ডিসেম্বর থেকে আতাউর রহমান মুকুল ও গোলাম নবী মুরাদ এবং ৩০ ডিসেম্বর হান্নান সরকার ও সুলতান আহম্মেদকে মাসুদুজ্জামানের সভা সমাবেশ প্রচার প্রচারণা তৎপর ছিলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন পান সাবেক এমপি আবুল কালাম। নিশ্চিত হওয়ার পরই ২৫ ডিসেম্বর মাসুদুজ্জামান মাসুদকে ফেলে আবুল কালামের পাশে দেখা যায় হান্নান সরকার ও সুলতান আহম্মেদ। নবীগঞ্জ দরগাহ জিয়ারতে আবুল কালামের পাশে তাদের দেখা যায়।
২৭ ডিসেম্বর মহানগর বিএনপি নেতা আবু জাফর আহম্মেদ বাবুলের আয়োজনে একটি দোয়া অনুষ্ঠানে আবুল কালামের দুই পাশে দেখা গেছে আতাউর রহমান মুকুলের আস্থাভাজন গোলাম নবী মুরাদ, হান্নান সরকার ও সুলতান আহম্মেদকে। এতে আবুল কালামের ছেড়ে যাওয়া নেতা আবারো ফিরে আসা বার্তা প্রশংসা হলেও সমালোচনা ছিলো চারদিকে।
জানা যায়, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হওয়া পর একাধিক সমালোচিত ঘটনায় জনপ্রিয় থেকে ছিটকে পড়েছেন সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, হান্নান সরকার ও সুলতান আহম্মেদ। তাদেরকে তাদের নির্বাচনী এলাকায় সমালোচিত রয়েছেন। এদের নিয়ে আবুল কালাম আবারো সক্রিয় হওয়া চেষ্টা করলে এমপি হওয়ার ভোট ব্যাংকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেখতে পারছেন কালাম সমর্থকদের। বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে ফেলে আবুল কালামের কাছে মাথানত করেছে তাদেরকে কিভাবে বিএনপি নেতা-কর্মী ও জনগণ বিশ্বাস করবে।


































আপনার মতামত লিখুন :