আর মাত্র বাকি ১ দিন। রোববার ২৮ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গা পূজা। দুর্গাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। যার মধ্যে দুর্গা নামে পর পর উমা ও পাবর্তী নামটিই বেশি পরিচিত। মা উমাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত নিতাইগঞ্জের বলদেব জিউর আখড়া। এখানে ১২ মাস জুড়েই দুর্গা মায়ের পূজা দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এখানে স্বাত্তি¡ক ভাবে পূজিত হন শান্ত দূর্গা। এজনই মন্দিরে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে খুব বেশি চাকচিক্যের ব্যবস্থা রাখা হয়না। তবে আগত দর্শনার্থীদের সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয় বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থার। যা অন্য কোন পূজা মন্ডপ গুলোর পক্ষ থেকে রাখা হয়না।
বলদবে জিউর আখড়া ও শিব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি জানান, বলদেব জিউর আখড়া প্রস্তুত হচ্ছে মাকে বরণ করার জন্য। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, আগত সকল ভক্তের জন্য সামান্য হলে প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে স্বাত্তিক ভাবে দুর্গা পূজার যে আয়োজন সেটাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাজসজ্জায় খুব বেশি বিলাসিতা থাকেনা। কারণ এই মণ্ড বছর জুড়েই দুর্গা মায়ের পূজা দেওয়া হয়। প্রতিদিনই দুর্গা মায়ের পূজা দেওয়া হয়। বিসর্জন হয় একবছর পরে। সেই ভাবাবেগ থেকে শান্ত ও স্থির দুর্গার প্রতিষ্ঠা করা হয় এই মন্দিরে। প্রতিমার সাজসজ্জার জন্য দেশীয় এবং নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য জামদানী দিয়ে সাজানো হয়েছে মাকে। আলোকসজ্জায় খুব বেশি ব্যয় করা হয়না মন্দিরটিতে।
বাইরে বেশ কিছু স্টল হবে দর্শনার্থীদের সেবা এবং বিনোদনের জন্য। রঙ বাংলাদেশ এর অংশীদারিত্বে থাকবে মিউজিক্যাল সেলফী বুথ। থাকবে সেলফির প্রতিযোগিতা। ওই সেলফী বুথে সেলফি তুলে সেখানে থাকা রঙ বাংলাদেশের অফিসিয়াল পেইজের কিউআর কোড স্ক্যান করে তোলা ছবি গুলো তাদের পেইজে আপলোড দিলে, পরবর্তীতে আপলোড হওয়া ছবি গুলো থেকে বাছাই করে সেরা সেলফী ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করা হবে।
জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি আরো বলেন, আমরা আরো একটি সেবার আয়োজন করছি, অনেক দর্শনার্থী আসেন তাদের ছোট শিশু বাচ্চাদের নিয়ে। সেই সকল দর্শনার্থী মা ও শিশুর জন্য আমরা আলাদা করে ব্রেস্ট ফিডিং রুমের ব্যবস্থা করেছি। মা তার শিশুকে সময় দিতে পারবে যতœ নিতে পারবে।
পাশাপাশি আমরা রেখেছি মেডিকেল সেবার স্টল। পূজা দেখতে এসে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের জন্য আমরা মেডিকেল সেবার বুথ রেখেছি। আমাদের মেডিকেল বুথ থেকেই অসুস্থ হয়ে পরা ব্যক্তিরা প্রাথমিক সেবাটা নিতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, যেহেতু আমাদের মন্দিরে ১২ মাস জুড়েই মায়ের পূজা হয়ে থাকে তাই আমাদের অন্যান্য মÐপের সাথে প্রতিমা বিসর্জন হয়না। আমাদের বিসর্জন হয় এক বছর পরে। তবে আমাদের মন্দিরে দশমীর দিন সিঁদুর উৎসব হয়ে থাকে। পূজার দশমিতে সিঁদুর উৎসব একটা ঐহিত্য। আমাদের এখানে মায়ের আগমনে মহালয়ার অনুষ্ঠানও খুব আরম্ভর ভাবে আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের বলদেব জিউর মন্দিরে সকল দর্শনার্থীদের আমন্ত্রণ রইলো।
আপনার মতামত লিখুন :