রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ক্যানেলপাড় এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন কুলসুম বেগম ও আব্দুল হক দম্পতি। নবজাতক কন্যা ফাতেমা'কে নিয়ে মায়ের ব্যস্ত সময় কাটতো দিনের পুরোটা সময়। কিন্তু এক ভুমিকম্পে পুরো সংসারটাই এলোমেলো হয়ে গেছে আব্দুল হকের।
শুক্রবার সকালে ভূমিকম্পে টিনশেড ঘরের দেয়াল ধসে মারা যায় ছয় মাসের শিশু ফাতেমা আক্তার। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন আক্তার। পরিবার জানায়, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকা কুলসুমের অবস্থা ভালো নয়। মাথায় আঘাত নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী রবিউল বলেন, ভূমিকম্পে সবাই যখন দৌড়াদৌড়ি করছে। তখনই বিকট শব্দে ওয়াল ভেঙে পরে। আমরা প্রথমে ভাবছি গ্যাসের পাইপ ফেটে গেছে। পরে ইট সরিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করি। ঘটনাস্থলেই বাচ্চাটা মারা গেছে। তিনজনকেই ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে বাচ্চার মা'কে ঢাকা মেডিকেলে পাঠাইছে।
ফাতেমার বাবা আব্দুল হক রূপগঞ্জ এলাকায় কাচামালের ব্যবসা করেন। ঘটনার পর বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন তিনি। মেয়ের শোক নিয়েই হাসপাতালে অবস্থান করছেন আহত স্ত্রীর পাশে।
বিকেলে নাতনির জানাজায় এসে কান্নায় ভেঙে পরে নিহতের স্বজনরা। কুলসুম বেগমের বাবা হক মিজি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, 'এভাবে বিপদ আসবে ভাবতেও পারিনাই। ছোট একটা শিশু, দুনিয়ার আলো দেখার আগেই চলে গেলো। আমার মেয়েটা মাথায় আঘাত পেয়েছে। আল্লাহ জানে ওর ভাগ্যে কি রাখছেন।'
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, 'ক্যানেলপাড় এলাকাটি তারাব পৌরসভার অন্তর্গত। তবে ন্যুনতম পৌর সেবা পাচ্ছে না বাসিন্দারা। এখানকার ভবনগুলো উঠছে খেয়ালখুশি মত। অপরিকল্পিতভাবে তৈরী হচ্ছে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। টিনশেড ভবনের দেয়াল দুর্বল হওয়ার কারনেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। পৌর কতৃপক্ষ বাড়িঘর নির্মানের বিষয়টি নজরদারি করলে এই দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না।'








































আপনার মতামত লিখুন :