নারায়ণগঞ্জ পাঁচ আসনে নির্বাচনী আলোচনায় আছেন প্রধান তিন প্রার্থী। তারা হলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ, জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ হোসেন। তবে এই তিন প্রার্থীর বাইরেও আলোচনায় আছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। যারা জয়ের সম্ভাবনার তালিকায় পিছিয়ে থাকলেও তাদের ব্যক্তি ইমেজ প্রভাব ফেলবে নির্বাচনের মাঠে। এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা তাদের সাথে মেলবন্ধন ঘটাতে পারলে পাল্টে দিতে পারবেন ভোটের হিসেব নিকেশ।
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে নির্বাচনের জন্য নিয়মিত প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর শাখার আমীর মুফতি মাসুম বিল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনের নেতা হিসেবে তার পরিচিত ব্যাপক। একাধিকবার মেয়র পদে নির্বাচন করে মাঠ পর্যায়ে তার নেতাকর্মী তৈরি করেছেন। ভোটের লড়াইয়ে অভিজ্ঞ এই প্রার্থীর রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক। আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হবেন তিনি।
একই আসনে নিয়মিত পথে ঘাটে ঘুরে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন। দীর্ঘদিন ধরে এই নারায়ণগঞ্জে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে মূল রাজনৈতিক প্লাটফর্মে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন তিনি। ত্বকী হত্যা থেকে শুরু করে, সন্ত্রাস বিরোধী, ওসমান বিরোধী, বাস ভাড়া বিরোধী সহ নানান নাগরিক ও সামাজিক আন্দোলনে অন্যতম পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন তিনি। সবশেষ জুলাই আন্দোলনেও মামলার আসামী হয়েছিলেন তরিকুল সুজন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের কারণে তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী তার নিজ দল থেকে।
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে নির্বাচনের জন্য নিয়মিত প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন খেলাফত মজলিসের জেলার সভাপতি সিরাজুল মামুন। শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ শহরে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। একাধিকবার মেয়র পদে নির্বাচন করে মাঠ পর্যায়ে তার নেতাকর্মী তৈরী করেছেন। ভোটের লড়াইয়ে অভিজ্ঞ এই প্রার্থীর রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক। আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হবেন তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থান থেকে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির দুজন প্রার্থী রয়েছেন এই আসনে আলোচনায়। এর মধ্যে একজন প্রয়াত রাজনীতিবিদ আবদুর রহমানের ছেলে আহমেদুর রহমান তনু। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক এবং দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য। পাশাপাশি তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালামের জামাতা। রাজনীতির মাঠে নেমে বেশ ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন শহরে। তিনি এই আসনে এমপি পদে নির্বাচন করতে বেশ মুখিয়ে আছেন।
অন্যদিকে একই আসনে লড়তে আগ্রহী এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সভাপতি হিসেবে এককালে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রাজনীতিতে পদচারনা দীর্ঘদিন ধরে। জুলাই আন্দোলন থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের প্রায় অধিকাংশ আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ। ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার পর কোন দলে যুক্ত না হলেও সক্রিয় ছিলেন অধিকার আদায়ের কর্মসূচিতে। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফের রাজনীতিতে ফিরেন শওকত আলী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনীতিতে পরিচিত মুখ এবং ক্লিন ইমেজের এসব ব্যক্তিরা নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে না থাকলেও থাকবেন আলোচনায়। তাদের পাশে টানতে পারলে সুবিধা পাবে হেভিওয়েট প্রার্থীরা। তাদের সমর্থন অনেক দলের বা প্রার্থীর মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ফলে অপেক্ষাকৃত নবীন হলেও হেলাফেলা করার সুযোগ নেই তাদেরও।








































আপনার মতামত লিখুন :