রাজনীতিতে শেষ বলতে কোন কথা নেই। যে আবুল কালামের ভাই পরিচয়ে বন্দরে বিএনপির রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিলো বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারাদেশে প্রত্যাহার হওয়ার পর সেই ভাইয়ের বিপক্ষে গিয়ে মাসুদুজ্জামান মাসুদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। আতাউর রহমান মুকুলের এমন কাণ্ডে বড় ভাই সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এবং ভাতিজা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য আসেনি। তবে শুক্রবার ২১ নভেম্বর বিকেলে বন্দরে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগের আয়োজন করা হয়েছিলো। যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজন হেভিওয়েট নেতা সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও মহানগর বিএনপি নেতা আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল।
গণসংযোগে মাইকে স্লোগান ধরে ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা।
ওই গণসংযোগের মিছিল থেকে আবুল কাউসার আশা দেখিয়েছেন কোন প্রকার বিদ্বেষ ও কাদাঁ ছুড়াছুড়ি ছাড়াই প্রতিপক্ষকে কিভাবে লজ্জা দিতে হয়। নবীগঞ্জের হাজী সাহেবের মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি কবিলমোড় পৌছানোর আগে চাচা আতাউর রহমান মুকুলের বাসার সামনে আসলে আশা স্লোগান ধরে ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ারি সাবধান’, ‘দালালী না রাজপথ’, ‘ক্ষমতা না জনতা’, ‘টাকা পয়সা দুইদিন ভালবাসা চিরদিন’। প্রায় মিনিট খানেক সময় সময় মিছিলটি সেখানে আটকে রেখে স্লোগান চালিয়ে যান আবুল কাউসার আশা। আশার দেওয়া স্লোগানের সাথে কণ্ঠ মেলান তার অনুসারীরাও।
ঠিক চাচার বাসার সামনে গিয়েই আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান স্লোগান দেওয়ায় তার অনুসারী বুঝতে বাকি থাকেনা কাকে উদ্দেশ্য করে এই স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
কারণ অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি নির্বাচনের মাঠে নেমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন আতাউর রহমান মুকুল। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এবং ওসমান পরিবারের সখ্যতার অভিযোগ তুলেছেন মহানগর বিএনপির নেতারা। ফলে তাকে এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। তাদের দাবি অতীতে যারা দলের জন্য অবদান রেখেছেন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্য থেকে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক।








































আপনার মতামত লিখুন :