বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসন, ফ্যাসিবাদ, জেলুজুলুম, গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও অর্থপাচার এমন কোন অপকর্ম নেই যা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর এবং শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটলেও, সময়ের ব্যবধানে দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন চিত্র। ৫ আগস্টের পর প্রথম দুইুতিন মাস বিএনপি এবং বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সবাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু সময় যত গেছে, ততই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সেই সম্মিলিত প্রতিবাদের আগুন ম্লান হয়ে গেছে। এখন যেন সবাই নিজের মতো ব্যস্ত, নীরব, একজন ছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
বিএনপির নেতারা বলছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাঠে ময়দানে ফ্যাসিবাদীরা যেখানে মাথা তুলতে চায় সেখানেই টিপু এখনো কঠোর অবস্থান নেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, বিএনপির নীরবতা ও দালালপ্রীতি প্রশ্নের মুখে কেবল নীরবতাই নয়, আরও উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে উঠেছে অনেক হেভিওয়েট নেতা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দালাল, ছাত্রনির্যাতন মামলার আসামি ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিএনপিতে তে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। কিছু ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই দলের ব্যানার ফেস্টুনে তাদের ছবি দেখা যাচ্ছে। মিডিয়াতেও এসব খবর প্রকাশ পেলেও কোনো কঠোর অবস্থান কেউ নিচ্ছে না। যেখানে ৫ আগস্টের পর সবাই যেভাবে চাপে রেখেছিল, সেই দৃঢ়তা এখন আর নেই। ফলে ফ্যাসিবাদীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে। সামনে নির্বাচন ছোট দলগুলোও আওয়ামী ভোটের লোভে নীরব বিভিন্ন ছোট দল ক্ষমতার হাওয়া বুঝে আওয়ামী দালালদের ছত্রছায়ায় রাখছে। রাজনীতির মাঠে নৈতিকতা, আদর্শ সব কিছু যেন এখন তলিয়ে গেছে। ১৭ বছর ধরে একা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে টিপুর অনমনীয় অবস্থান।
গত ১৭ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন টিপু। শাসন পরিবর্তনের পরও তিনি তার অবস্থান পাল্টাননি।








































আপনার মতামত লিখুন :