নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দর উপজেলার একাংশ বাসা বাড়িতে গ্যাস নাই। পাশাপাশি বৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ থাকা অবস্থায়ও তিন বছরের বেশি সময় ধরে গ্যাসবিহীন নারী-পুরুষ। সিলিন্ডার, ইলেক্ট্রনিক্স চুলা, মাটি চুলা ও কেরোসিন চুলা মাধ্যমে তিন বছর ধরে বাড়ী ঘরে রান্না করছে বন্দরবাসী। একই সাথে গ্যাসের বিল মাসে মাসে পরিশোধ করেও গ্যাস পাচ্ছে না ভুক্তভোগী বন্দরবাসী। যার কারণে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভুক্তভোগী বন্দরবাসী মধ্যে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। যে প্রার্থী গ্যাস দেয়ার ব্যবস্থা করে দিবে তাকেই বন্দরবাসী ভোট দিবেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ ২১ নভেম্বর নাসিকের ২০ ও ২১নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে। তার কাছে গ্যাসের দাবিতে এলাকার নারী পুরুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড়ে তার কাছে দাবি তুলে ধরতে পারেনি। এমনকি তিনি দুই ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে কোন বার্তাও দেয়নি। বরং মাসুদুজ্জামান মাসুদ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সামনে তার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে রাখেন। ওই সময়ে সাধারণ মানুষ মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কটি মেরামতের দাবি তুলতে তিনি সওজ সাথে যোগাযোগ করে সমাধানের আশ্বাস দেন।
২০নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা দড়ি সোনাকান্দা ফরাজিকান্দা মাহমুদনগর এলাকা একাধিক নারীরা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় তিতাস গ্যাস পাওয়া সুযোগ করে দিবে সেই প্রার্থীকে ভোট দিবো। কে কোন দল করেন আমাদের দেখার দরকার নেই। মাসে মাসে বিল দিয়েও আমার গ্যাস পাই না। বরং বাড়ির কর্তা বেতন/কাজের টাকা দিয়ে অতিরিক্ত কারেন্ট বিল দিয়ে চুল বা কাঠ কিনে মাটি চুলায় রান্না করি। যার কারণে বন্দরে একাধিক এলাকা মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে তিন বছর যাবৎ।
বন্দরের নোয়াদ্দার লিলি বেগম আবেগে বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীরা হেটেঁ আর গাড়ী অটোরিক্সা চড়ে চলে যান। তারা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বা প্রয়োজনীয় কথা শুনেন না। নির্বাচনে জয়ী হলে আর এমপিদের চেহারা পাচঁ বছরে দেখি না। এবার আমাদের বন্দরে যিনি তিতাস গ্যাস আগের মত ব্যবস্থা করে দিবেন তাকেই আমরা জয়ী করবো।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটে জনদুর্ভোগের অন্ত নেই। বাধ্য হয়ে রান্নার কাজে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন অনেকে। সিলিন্ডার কেনার বাড়তি খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে মানুষের মধ্যে অভিযোগ এবং অসন্তোষও বাড়ছে। গত ২৫ আগষ্ট তিতাস গ্যাসে মেইন পাইপে পানি নিস্কাশন ও ত্রিবেনি পুলের উপর নতুন পাইপ সংযোগ করার লক্ষ্যে বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ ও তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী টিমের সদস্যদের টিম পরিদর্শন করেন। ওই সময়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানান, টানা বৃষ্টি কারণে এনায়েত নগর ত্রিবেনী পুলের নিচে তিতাস গ্যাসে মেইন পাইপে পানি জমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে গ্যাসের মেইন পাইপ পানি নিষ্কাশন ও ত্রিবেনী পুলের উপর দিয়ে নতুন পাইপ সংযোজন করে সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেন।
কিন্তু গত তিন মাসে তিতাস গ্যাস মেইন পাইপ মেরামতে কোন ব্যবস্থা না নেয়া বিএনপির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। যেখানে বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি হস্তক্ষেপে বাসা বাড়িতে গ্যাস পাচ্ছে না, তাদের দলের এমপি নির্বাচিত পাত্তা পাওয়া যাবে না।
ইতোমধ্যে ত্রিবেনী পুলের নিচে পানি গ্যাসের মেইন পাইপ পানি জমাটের কারণে গ্যাসহীন ত্রিবেনী পুল, কেল্লা, সোনাকান্দা, এনায়েতনগর, হাজীগঞ্জ, দড়ি সোনাকান্দা, মাহমুদনগর, ফরাজিকান্দা, মদনগঞ্জ, ইসলাপুর, কলাগাছিয়া সহ একাধিক এলাকা। টানা বৃষ্টি কারণে এনায়েত নগর ত্রিবেনী পুলের নিচে তিতাস গ্যাসে মেইন পাইপে পানি জমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। বন্দর ত্রিবেণী ব্রিজ হতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার জুড়ে তিতাস গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।








































আপনার মতামত লিখুন :