News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সীমান্ত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম সীমান্ত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি

এক বছর ধরে ছেলের কণ্ঠে বাবা ডাক শুনতে পারছি না। দেশের কল্যাণে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে মানুষের সেবা করবে এমন কথা বলত সীমান্ত। কিন্তু সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। নির্মমভাবে সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। পরে অন্তবর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সহযোগিতা সীমান্ত হত্যায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। সুক্ষ্ম তদন্তের মাধ্যমে আদালতে চার্জশীট জমাও দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত ১৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ শামীম আজাদের আদালতে আলোচিত সীমান্ত হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গ্রহণ করে। এ সময় আসামিদের বিরুদ্ধে আগামী বছর ৮ জানুয়ারি সাক্ষীর জন্য ধার্য করেছেন।’

১৪ ডিসেম্বর মো: ওয়াজেদ আলম সীমান্ত’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এতে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন সীমান্তের পিতা মোঃ আলম চাঁন। একই সাথে আদালতে বিচার পরিচালনায় বিজ্ঞ আইনজীবী ও সাংবাদিক সমাজের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

৭ ডিসেম্বর রোববার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউন্টার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: ওয়াজেদ আলম সীমান্ত’র হত্যা মামলায় আগামী ৮ জানুয়ারি আদালতে স্বাক্ষী ধার্য নিয়ে আদালতপাড়ায় তিনি এই আক্ষেপ করেন।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে বন্দি তিন ছিনতাইকারীরা এখনো হাইকোর্ট থেকে জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাক্ষী গ্রহণে বাধাগ্রস্ত করতে পায়তারা করছে। ছেলেকে হারিয়েছি বিচারে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায়।

মো: ওয়াজেদ আলম সীমান্ত হত্যা মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির। সাথে থাকেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, অ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহ বিটু, গাউস মোহাম্মদ বিটু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছর ১২ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউন্টার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষেন শিক্ষার্থী সীমান্ত কলেজে যাবার পথে নগরের দেওভোগ এলাকায় মগ্যার্ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীরা সীমান্তকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর গত ১৪ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্ত মারা যায়। সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ছিনতাইকারী অনিক ও আকাশ গত বছর ১৯ ডিসেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বীকারোক্তিতে অনিক বলেছে গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে নগরের দেওভোগ মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল মো. অনিক, আকাশসহ ৩ জন। ওই সময় কলেজে যাবার জন্য ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থী ওয়াজেদ আলম সীমান্ত। ৩ ছিনতাইকারী সীমান্তের ব্যাগ ও মোবাইল ফোনের জন্য তার পথরোধ করেন। সীমান্ত তাতে বাধা দিলে অনিকসহ ৩ ছিনতাইকারী তাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। জবানবন্দিতে একই ধরণের বক্তব্য দিয়েছে আকাশ।

Islam's Group