News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

হামলাকারীরা অধরা, প্রকাশ্য থাকলেও পুলিশ খুঁজে পায়না


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১১:২২ পিএম হামলাকারীরা অধরা, প্রকাশ্য থাকলেও পুলিশ খুঁজে পায়না

গেলো ৫ নভেম্বর ফতুল্লা থানার গিরিধারায় সংবাদ সংগ্রহে গেলে জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিসহ তিন গণমাধ্যম কর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। ওই ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললেও অস্ত্রধারী সেই হামলাকারীরা এখনো অধরা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ আসামি ধরতে গড়িমসি করছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ তুললেও পুলিশ তাৎপরতার বাণী শোনাচ্ছেন।

হামলার শিকার গণমাধ্যম কর্মীরা হলো জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আকাশ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ নারায়ণগঞ্জের ক্যামেরাম্যান আব্দুল্লাাহ আল মামুন ও আয়াজ।

সংবাদ কর্মী হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া শাহাদাত ওরফে ভূমিদস্যু পুলিশ শাহাদাত ও সায়দাবাদী সহিদের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি তাদের ১০-১২ জন সহযোগী হামলাকারীর বিরুদ্ধে (৬ নভেম্বর) ফতুল্লা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর পরই যেনো আটকে গেছে পুলিশি কার্যক্রম।

মামলার বাদী মো. আকাশের ভাষ্য, আসামিরা এলাকাতে ঘাপটি মেরে বসে থাকলেও পুলিশের তাৎপরতা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনিসহ তার সহযোগীদের উপর হামলাকারীদের দুজনের নাম-পরিচয় পুলিশকে দেওয়া সত্বেও আসামি গ্রেফতার হননি।

এদিকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সংবদ্ধ হামলাকারী গ্রুপের প্রত্যেক অপরাধী এখনো এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন। বউবাজার এলাকার ৬নং গলির একটি সেলুন সংলগ্ন ভবনের নিচ তলার একটি অফিসে নিয়মিত সময় কাটান অপরাধীরা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে পুলিশ আসামিদের খুঁজে পাননা।

ভুক্তভোগী আকাশ জানান, আমাদের আঘাত করা প্রত্যেককে আমরা না চিনলেও শাহাদাত বাধে অন্য আরও দুই আসামি সহিদ ও ওয়াহিদের নাম-পরিচয় পুলিশকে দেওয়া সত্বেও তারা এখনো অধরা। অথচ প্রকাশ্যেই ওই আসামিরা এলাকায় চলাফেরা করছে বলে আমরা জেনেছি। আবার গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি শাহাদাতকেও আমরাই পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। তাহলে পুলিশের কাজটা কি? উনাদের দায়িত্ববোধ নেই? আমি যখনই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি তারা তাৎপরতার গল্প শোনায়।

আসামি গ্রেফতার না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার জানান, আমরা তিনদিন টানা অভিযান পরিচালনা করে তাদের খুজে পাইনি। এরপর ১৩ নভেম্বর থেকে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় অভিযান হয়নি। অচিরেই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। আমরা তাৎপর রয়েছি।

প্রসঙ্গত ফতুল্লার গিরিধারার বউ বাজার এলাকায় এক অসহায় পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানোর খবরে ঘটনাস্থলে যান গণমাধ্যম কর্মী আকাশসহ তার সহকর্মীরা। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখতে পান যে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতা-ই রাব্বি ও তার পিতা কৃষকদল নেতা শাহাদাত চৌধুরী ওরফে শাহাদাত পুলিশ একটি পরিবারের ৩ শতাংশ জমিতে গড়ে উঠানো কারখানা দখলের চেষ্টায় অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। এরপর যখন সংবাদকর্মীরা তথ্য নিয়ে ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলো ঠিক তখনই আচমকা প্রধান আসামি শাহাদাতসহ তার ১০-১২ জন সহযোগী সন্ত্রাসী সংবাদ কর্মীদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেন। মারধরের একপর্যায়ে সংবাদ কর্মীদের অন্য আরেকটি কারখানা আড়াই ঘন্টায় আবদ্ধ রেখে দফায় দফায় নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়।

৬ নভেম্বর বিকেলে আহত জাগো নিউজের সাংবাদিক মো. আকাশ খান বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলাটি (যার নং-০৯) দায়ের করেন।

Islam's Group