নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতির দিকেই রয়েছে। হাসপাতালে এই ডেঙ্গু রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সরকারি বেসরকারী হাসপাতাল ছাপিয়ে ঢাকার হাসপাতালগুলোতেও এখন অন্য যে কোনো জেলার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি।
এদিকে আক্রান্তের পাশাপাশি যখন বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত্যুর খবরও শোনা যাচ্ছে তখন এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন অনেকে। ব্যক্তি উদ্দ্যোগে শুরু হয়েছে মশক নিধন কর্মসূচী। কেউ কেউ সিটি করপোরেশনের সহযোগীতা ছাড়া ফগার মেশিন কিনেও ধোঁয়া ছিটাচ্ছেন লার্ভা মারতে ড্রেনে ও অলি গলিতে তরল ওষুধ দিচ্ছেন। জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও সিটি করপোরেশন থেকে বলা হচ্ছে, অতিমাত্রায় ওষুধ দিলে সেটাও বিপদ ডেকে আনতে পারে।
জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মুশিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, মশার ওষুধ যদি কোথায় কতটুকু দিতে হবে সেটা বুঝে দেয়া হয় তাহলে ভালো। কিন্তু কোথাও যদি অতিরিক্ত দেয়া হয় তাহলে সেটা মানুষের স্বাস্থ্য ও প্রকৃতির জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই দিলেই হবেনা। সেটার ব্যবহার যাতে সঠিক হয় সে বিষয়ে জানার পর তারপর দিতে হবে।
নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, এটার জন্য উল্টাপাল্টা ওষুধ দিলে সমস্যার আরো বাড়বে। ওষুধ তো কোনো টেকসই সমাধান না। এই শহরে মাটির নিচে অনেক পানির পাইপ ভাঙা। আপনি ওষুধ দিলেন উপর দিয়ে যেটা বিষ, পরে সেটা তো পানির সাথে মিশে পাইপ দিয়ে আপনার বাড়িতেই যাবে। এগুলো মাথায় রাখতে হবে। তারপর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তাই আমরাও ওষুধ দেয়ার সময় অতিরিক্ত দেইনা। ডেঙ্গুর প্রভাব কমাতে হলে রাষ্ট্রীয় ভাবে চিন্তা ভাবনা গবেষণা করে টেকসই সমাধান বের করতে হবে।








































আপনার মতামত লিখুন :