 
                                    
            নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডের কিল্লারপুলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মিন্টুর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাদের অভিযোগ, মনির হোসেন মুকুল জোরপূর্বকভাবে ওই জমি দখলের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার একাধিকবার হামলাও করেছে।
জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো মনির হোসেন মুকুল। এরই মধ্যে মোক্তার হোসেন একাধিকবার থানায় জিডি করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লিপি আক্তার (৪০) জানান, কিল্লারপুল মাজার গলিতে আমাদের বসত বাড়ির পার্শ্ববর্তী সীমানায় আমার পিতা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মিন্টু এর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছি। বিবাদীগণ আমার চাচা ও তাহার পরিবারের সদস্যগণ। বিবাদীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ উপরোল্লিখিত আমার পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারায় লিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মানসিকভাবে নির্যতন করে আসছে। গত ১ জানুয়ারী মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়, উক্ত তালা আমরা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে উক্ত বিবাদীগন আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। যদি বাসা ছেড়ে চলে না যাই তাহলে ভাড়াটিয়া সহ বাড়ির মালিকদের মারধর করে উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর মনির হোসেন মুকুল বাহির থেকে ভাড়া করে ৩০ -৪০ জন এসে হামলা চালায়। আমার বাবার শেষ স্মৃতিগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। আমি মেয়ে মানুষ ওরা আমাকেও ছাড় দেয়নি। আমি আটকাতে গিয়ে মুকুলের বাহিনীর হাতে ঘুষি খেয়েছি, আমার চুল টেনে ধরে সরিয়ে দেয়। আমি এর বিচার চাই। ওরা নাকি বিএনপির অনেক বড় বড় নেতা। ওদের চুল ও নাকি ছিড়তে পারবো নাহ। নানা ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওরা। আমি মেয়ে মানুষ মুকুলের ভাড়া করা গুন্ডা রা আমার গায়েও হাত তোলেন। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মনির হোসেন মুকুলকে ফোন দিলে ব্যাপারটা এড়িয়ে যান তিনি বলেন, আমি এখন কিছুই বলতে পারবো না।








































আপনার মতামত লিখুন :