নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হাজীগঞ্জের একটি বাসা থেকে সৌদি প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ থানা পুলিশ। আটককৃত স্ত্রীর নাম মনিরা বেগম(২১)। সে নিট কনসার্ট নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে।
বৃহস্পতিবার ভোরে হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের তজুমুদ্দিনের ভাড়া বাড়ির পঞ্চম তলার শোয়ার রুম থেকে নিজাম উদ্দিন (২৫) নামের ওই প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নিজাম উদ্দিন দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার আড়াজি গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ৫ বছরের কন্যা নাফিসাকে নিয়ে হাজীগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন। একই ভবনের চতুর্থ তলায় থাকতেন তার শ্বশুর শাশুড়ি।
নিজামের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্ত্রীর দাবি, বুধবার রাত ১১টায় দিকে বাসায় ফিরে দুজনে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়ে ছিল। রাতে আড়াইটার দিকে স্বামীর গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে তার ঘুম ভেঙ্গে দেখে তার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজাম উদ্দিন জানালায় ঝুলছে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে মরদেহ নিচে নামায়। এ সময় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললেও নিহতের বড় ভাই মইনুদ্দিন ও খালাতো ভাই আশরাফুল নিতে দেননি।
এদিকে
নিহতের বড় ভাই মইনুদ্দিন বলেন, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে গিয়ে তিনি বিছানায় ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ভোরে এসে লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।








































আপনার মতামত লিখুন :