নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন সাবেক এমপি আবুল কালাম। তিনি দলের মনোনয়নের চিঠি পেয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে যুক্ত করেছেন। তবে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়েও দাখিল করেছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল। এ দুইজনের পক্ষে বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে দাখিল করেননি মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
জানা গেছে, বিএনপির প্রাথমিক তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে সেসময় অত্র আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপি নেতা ও প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহাম্মেদ বাবুল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু শিল্পপতি মাসুদের মনোনয়নের বিরোধীতা করে একজোট হন। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে মহানগরের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু শিল্পপতি মাসুদের পতাকাতলে শামিল হন।
গত ১৬ ডিসেম্বর আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন করে নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। এতে করে অত্র আসনে বিএনপির প্রার্থীতা নিয়ে নাটকীয়তা দেখা দেয়। পরে মাসুদের অনুগামীরা তাকে প্রার্থীতা বহালের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করতে থাকলে ১৯ ডিসেম্বর আবারো নির্বাচন করার ঘোষণা দেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে এই নাটকীয়তার রেশ কাটতে না কাটতে ২০ ডিসেম্বর অত্র আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও তার অনুগামীরা পোস্ট দিতে থাকেন দল থেকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সাখাওয়াত দলের মনোনয়নের জন্য জামানতের ৫৫ হাজার টাকা জমা দেয়ার স্লিপের ছবিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। তবে সেসময় শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদও গণমাধ্যমকে জানান প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী তিনিই বহাল রয়েছেন। এরপর থেকে অত্র আসনে বিএনপির দুই প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ ও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিচয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ইতোপূর্বে ৩ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আবুল কালাম। তিনি একাধিকবার মহানগর বিএনপির সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।


































আপনার মতামত লিখুন :