কনকনে ঠান্ডায় যখন ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল। তখন নারায়ণগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ফুটপাত জমে উঠছে শীতের পোশাক বেচাকেনায়। বিকেলের পর চাষাড়া, কালীরবাজার ও দুইনং রেলগেট এলাকার বিভিন্ন ফুটপাতে কয়েক হাজার ভাসমান পোশাকের দোকান দেখা যায়। প্রচন্ড ভীড় ঠেলে ভ্যানগাড়ী ও কাঠের চৌকিতে পাতা এসব দোকানে পোশাক কিনতে ভীড় করছেন নগরবাসী। চাষাড়ার শহীদ মিনার থেকে কালীর বাজার পর্যন্ত বিবি রোডের দুই পাশে কিছু কিছু জায়গায় ফুটপাতের পাশাপাশি বিক্রেতারা সড়কে নেমে আসার কারণে যানজটে ভোগান্তিও লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরুষদের চেয়ে নারী ও শিশুদের পোশাকের সমারোহ বেশি ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে। বিক্রেতারা বলেন, আর এক সপ্তাহ কিংবা এরপর আরো কয়েকদিন বেচাকেটা ভালো হবে। বিদেশ থেকে আমদানী করা শীতের পোশাক ঢাকা থেকে লট হিসেবে ক্রয় করে এসে নারায়ণগঞ্জের ফুটপাত ও রাস্তায় বিক্রি করে ভালো আয় হচ্ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।
শওকত হোসেন নামে কালীরবাজার এলাকার এক হকার বলেন, যা বিক্রি হইতাছে আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। আমরা এই শীতকাল আর ঈদের সময় একটু ভালো বেচাকেনা করি। আর এক সপ্তাহ শীতের বেচাকেনা চলবে। এরপর পুরা শীতকাল যতদিন থাকবে, ততদিন ধীরে ধীরে বিক্রিবাট্টা হইব। আমাদের কারণে শহরে কোনো সমস্যা নাই। মা-বোনদের জিজ্ঞেস করেন গিয়া, তারাই আমাগো রাস্তায় বসার লাইসেন্স দিসে।
চাষাড়ায় শীতবস্ত্র কিনতে আসা এক নারী বলেন, আমরা শীত আসলে রাস্তা থেকেই জামাকাপড় কিনি। এখানে কম দামে পাওয়া যায়। শো-রুম থেকে কিনলে যেই পোশাক ২ হাজার টাকা, সেটা এখানে ৫০০ টাকায় পাবেন। ফুটপাত কষ্ট হইলেও আমাদের গরীবদের জন্য ভালো। আড়ং থেকে কিছু কিনলে আপনি দামও করতে পারবেন না। এখানে ঝগড়া করে কিনতে পারবেন। তবে এখানে ভীড় হওয়ায় অনেক সমস্যা আছে। টাকা পয়সা নিয়ে যায়, আবার মোবাইল চোরও আছে। এছাড়া সব ঠিক আছে।






































আপনার মতামত লিখুন :