নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগসহ এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারের প্রবণতা বাড়ছে। ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এদের নিজেদের মধ্যে অস্ত্র প্রদর্শন, হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধাওয়া ও মারামারির মাঝখানে পড়ে হামলার শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রশসানের উদাসীনতায় ছিচকে সন্ত্রাসীরা এলাকাভিত্তিক ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলছে সক্ষম হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে অপরাধীদের দমন করতে পারে। তবে এই কাজে তাদের আগ্রহ না থাকায় সাধারণ মানুষ জুলুমের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেওভোগের পানির টাংকি, বোয়ালিয়া খাল, ভূইয়ারবাগ ও গলাচিপা এলাকার মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ৫ আগষ্টের পর সন্ত্রাসীদের বড় সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
সবশেষ গত, ১২ ডিসেম্বর দুপুরে দেওভোগ পানির টাংকির একতা সড়ক এলাকায় প্রবেশ করে ৫০ থেকে ৬০ জনের এক কিশোর সন্ত্রাসীদের দল। তারা অস্ত্র হাতে প্রবেশের পর স্থানীয় মাদক বিক্রেতা আওলাদ ও তার স্ত্রী ফতুল্লা থানা পুলিশের সোর্স রেহেনাকে খুঁজতে তাদের বাড়িতে যান। এ সময় তাদের না পেয়ে বেরিয়ে আসার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকজন এলাকাবাসীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার মোহাম্মদ হানিফ নামে দেওভোগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আমাগো (পানির ট্যাংকি) এলাকার মাদক বিক্রেতাগো মারতে আইসে গলাচিপা বোয়ালিয়া খালের মাদক বিক্রেতাগো সন্ত্রাসীরা। আমি নামাজ পইড়া ছোট পোলারে নিয়া মাত্র বের হইসি। ওরা আইসা কোনো কথা নাই কিছু নাই আমার পায়ে কোপ দিয়া গেলো। শুধু আমারে না, ছোট পোলারেও মারসে।
হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতবড় ঘটনার পর সারা শহরে খবর ছড়াইয়া গেসে। কিন্তু পুলিশ কোনো তদন্ত করে নাই। হামলাকারীদের ছবি ভিডিও ক্যামেরায় ধরা পড়সে। কারা এটা করসে সেটাও সবাই জানে কিন্তু যারা অপরাধীগো ধরবো তাদের কোনো খবর নাই।
দেওভোগ এলাকার এক মুদি দোকানী বলেন, বোয়ালিয়া খাল, লিচুবাগ, ভূইয়ারবাগ, গলাচিপায় কয়েকশ কিশোর গ্যাং আছে। সারারাত ওরা ছিনতাই করে। আবার দিনে মাদক ব্যবসা করে তারাই। পুলিশ তাগো ইচ্ছা করে ধরেনা। এখানে কি স্বার্থ আছে তারাই ভালো জানে। বেশি না ১০ থেকে ২০ টারে ধইরা প্রকাশ্যে পিডাইলে সব ঠিক হইয়া যাবে। এদের একটাও স্থানীয় পোলাপান না।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।






































আপনার মতামত লিখুন :