News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

বাঁচতে চায় দুটি কিডনী বিকল হওয়া রাসেল, প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম বাঁচতে চায় দুটি কিডনী বিকল হওয়া রাসেল, প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা

জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকার বাসিন্দা নূর হোসেন গাজী ওরফে গাজী রাসেল বাঁচতে চান। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী আসমা আক্তার নিজের একটি কিডনি দেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ দরকার অন্তত ১৫ লাখ টাকা। এই টাকা জোগাতে না পেরে অস্ত্রোপচার হচ্ছে না রাসেলের। শ্রবন প্রতিবন্ধী একমাত্র কন্যার জন্য বাঁচতে চান রাসেল।

জানা গেছে, এক বছর আগেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত মোঃ আলী গাজী ও সাহেরা বেগমের ছোট ছেলে মোঃ নূর হোসেন গাজী ওরফে গাজী রাসেল সুস্থ ছিলেন। একটি গার্মেন্টসে হিসাবরক্ষকের চাকরীর আয় দিয়ে পরিবার নিয়ে স্বচ্ছলতার সঙ্গেই জীবন অতিবাহিত করছিলেন। কখনো ভাবেননি যে একদিন সুস্থ জীবনটাই তার কাছে সবচেয়ে বড় দু:স্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে। নিয়তির নির্মম পরিহাসে চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎ করেই কিডনি জটিলতায় রাসেলের জীবনে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন রাসেল। পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে জানতে পারেন তার দুটি কিডনীই বিকল হয়ে গেছে। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে দু'টি করে ডায়ালেসিস নিতে হচ্ছে রাসেলকে। প্রতি ডায়ালেসিসে খরচ হচ্ছে আড়াইহাজার টাকা। এছাড়াও প্রতিদিন অন্তত ১৩ পদের ওষুধ সেবন করতে হচ্ছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন রাসেল। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে বর্তমানে বেকার। স্ত্রী গৃহবধূ আসমা আক্তার আর  মেয়ে শ্রবন প্রতিবন্ধী ইসমানুর ছাড়া আর কেউ নেই রাসেলের সংসারে। অসুস্থ হওয়ার পরে ভাড়া বাসা ছেড়ে উঠেছেন শ্বশুরবাড়িতে। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের সহযোগিতায় দীর্ঘ এক বছর ধরে চলছে চিকিৎসা। অভাবের সংসারে এখন আর মিলছে না অর্থ। 

রাসেলের চিকিৎসক ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনী ডিজিসেস এন্ড ইউরোলজির সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জরুরিভাবে রাসেলকে বাঁচাতে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। সে মোতাবেক রাসেলের স্ত্রী আসমা আক্তার তাকে বাঁচাতে তার নিজের একটি কিডনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিডনি প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচারে অন্তত ১৫ লাখ টাকা খরচ পড়বে। সে টাকার ব্যবস্থাই করতে পারছে না পরিবার।

নূর হোসেন গাজী ওরফে রাসেল জানান, তার একমাত্র কন্যা ইসমানুর শ্রবন প্রতিবন্ধী। সে কানে ঠিকমতো শুনতে পেতনা। যে কারণে কথাও ভালমতো বলতে পারেনা। ২০২১ সালে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে সরকারের সহযোগিতায় মেয়ের ককেলিয়ার অপারেশন করা হয়। তখন তার সঞ্চিত অর্থ খরচ হয়ে যায়। ঋণগ্রস্তও হয়ে পড়েন। সেসময়ই রাসেলের কিডনী পরীক্ষায় ক্রিয়েটিনিনের পরিমান বেশী ছিল।

টানাটানির সংসারে নিজের চিকিৎসা ঠিকমতো করাত পারেননি। চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসেলকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরীক্ষার পরে জানতে পারেন তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে।

প্রতি সপ্তাহে দুই বার ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে তাকে। এতে করে প্রতি সপ্তাহে খরচ হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে পারছেন না। গত এক বছর ধরে আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের সহযোগিতায় চিকিৎসা চলছে। ব্যয়বহুল কিডনির চিকিৎসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে এখন। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসক কিডনি প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। তার স্ত্রীর সঙ্গে ম্যাচ হয়েছে। তার স্ত্রী একটা কিডনী দিবে। তবে প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। তবে এই টাকা জোগাড় করা তার পরিবারের জন্য অসম্ভব। তিনি সরকারের বিভিন্ন দফতরে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করলেও এখনো কোন সাড়া পাননি। তাকে বাঁচাতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। 

রাসেলের শ্বশুর বলেন,  রাসেলের ব্যয়বহুল কিডনির চিকিৎসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে এখন। কিডনি প্রতিস্থাপেনের ব্যয়ভার বহন করার সক্ষমতা আমাদের নেই। তাই রাসেলকে বাঁচাতে দেশের বিত্তবান ও হৃদয়বান কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।

সুন্দর পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সমাজের সকল হৃদয়বান, বিত্তশালী, দানশীল, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন রাসেলের পরিবার এবং সমাজের সচেতনমহল।

রাসেলকে সাহায্য পাঠাতে পারেন ০১৯১৪৪৫৭৭৩৫ (বিকাশ) নাম্বারে অথবা ব্যাংক একাউন্টে। মো. নূর হোসেন গাজী সোনালী ব্যাংক লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ কর্পোরেট শাখা একাউন্ট নাম্বার : ৩৬১৩৭০১০৪১৫৬৬

Ad Placement 1
Ad Placement 2
Islam's Group