নানা উদ্যোগ নিয়েও নগরীতে যানজটের অন্যতম কারণ অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। নগরীর যানজট নিরসনে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা নিয়ন্ত্রণে পূর্বের রিকশার প্লেট গুলোতে অটোরিকশার জন্য রূপান্তর করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন প্রাপ্ত অটো রিকশা আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতে তিনটি থানা এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন রঙ করা হয়েছে। তবুও নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক সহ গুরুত্বপূর্ন সড়ক গুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন বৈধ অটো রিকশা মিশুক মালিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সানু জানান, নারায়ণগঞ্জে রিকশার জন্য যে প্লেট গুলো ছিল রিকশা যেহেতু চলে না তাই সেগুলো ডিজিটালে কনর্ভাট করে মিশুকে দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের তিনটি থানা এলাকায় মোট ১৭ হাজার ৪৪২টি বৈধ মিশুক ও অটো রিকশা রয়েছে। আগে রিকশার প্লেটের জন্য বাৎসরিক নবায়ন ফি ছিল ৬০০ টাকা। বর্তমানে আমরা সেটা দিছি ৮ হাজার ৩৬৫টাকা। এতে করে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লেট গুলো আমাদের সরকারি ভাবে গেজেট ভুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদরের জন্য ১০ হাজার ৮০০ প্লেট, বন্দরের জন্য ৮০০ প্লেট এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জে ৬ হাজার এর মত। তিন থানার জন্য আলাদা আলাদা প্লেট এবং রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে। শহরের জন্য হলুদ, সিদ্ধিরগঞ্জের নীল এবং বন্দর এলাকার জন্য কমলা রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মে মাসে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আমাদের ১৫দিনের সময় দেওয়া হয়েছিলো প্লেট অনুযায়ী অটো রিকশা গুলোর রঙ পরিবর্তন করার জন্য। আমরা সেই অনুযায়ী প্রত্যেক এলাকার জন্য আলাদা আলাদা রঙ করেছি। কিন্তু এখনো শহরে অবৈধ অটোরিকশার প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছেনা। দেখা যাচ্ছে অনেকেই আমাদের মত রঙ করেছে কিন্তু তাদের প্লেট নাই। আবার মুন্সিগঞ্জের প্লেট নিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলছে এমন অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু তাদেরকে শহরে প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছেনা।
এদেরকে শহরে প্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে কটোর পদক্ষে নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এসব অবৈধ অটো রিকশার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে অনেকে এটাকে অমানবিক বলে সমালোচনা করে থাকে। এই বিষয়টিও অটো রিকশার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পেছনে একটি অন্তরায়।
আপনার মতামত লিখুন :