বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের জন্য ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নিজের প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরদেশ।
মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর বেলা ১২টায় শহরের কালীরবাজার এলাকার ফ্রেন্ডস মার্কেট, কালীরবাজার, স্বর্ণপট্টি এলাকায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ সহ তারেক রহমানের পরিকল্পনা সাধারণ মানুষের তুলে ধরতে গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি নিজের প্রার্থীতার কথা বলেন।
সেই সাথে তিনি বলেন, আমাদের বড় দল এখানে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। আমাদের মাঝে প্রতিযোগিতা থাকবে, বড় দলে অনেক উপযুক্ত প্রার্থী আছে। আমি সহ আরো ৫/৭জন প্রার্থী আছেন নারায়ণগঞ্জ সদর আসনে। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান যাচাই বাছাই করে যাকে উপযুক্ত মনে করবেন যার হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিবেন আমরা সেই প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবো। আমরা কোন ভাইয়ের লোক না, আমরা কোন ব্যক্তির লোকনা। আমরা সর্বপ্রথম শহীদ জিয়ার আর্দশের সৈনিক, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কর্মী আমরা ধানের শীষের ভোটার। এটাই আমাদের পরিচয়। কোন ভাই বা গ্রæপের লোক হতে চাইনা শুধু দলের লোক হতে চাই।
খোরশেদ আরো বলেন, দেশ নেতা তারেক রহমান গত সতের বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত বিবিসিতে সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি সবার আগে বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছেন। দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, এক বারের জন্য আওয়ামী লীগ ও হাসিনার নাম উচ্চারণ করেননি। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি পছন্দ করেন না। উনি নতুন শান্তি ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায়। অনেকেই নিজেকে জাহির করতে ত্যাগের কথা বলেন। কিন্তু বাংলাদেশে জিয়া পরিবারের মত ত্যাগ স্বীকার কেউ করে নাই। বেগম খালেদা জিয়ার মত তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়েছে, তারেক রহমানকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ছোট ভাইকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন সেই ভাই মারা গেছে। যে বাড়িতে বড় হয়েছেন সেই বাড়ি নেই। শত শত নেতাকর্মী খুন হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মী পঙ্গু হয়েছে, কোটি নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এতোকিছুর পরও তারেক রহমানের নিদের্শনা প্রতিশোধের কোন সুযোগ নাই। যদি কেউ হত্যা গুম খুন করে থাকে তবে সেটা দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে। আমরা সবাই মিলে সবার আগে বাংলাদেশ ¯েøাগানকে সামনে রেখে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
লিফলেট বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান জামাল এর ছেলে হারুন জামাল, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান খন্দকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মাহমুদ বকুল, রানা মুজিব, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, শওকত খন্দকার, নাজমুল কবীর নাহিদ, জুয়েল রানা, সুমন ভূইয়া, মো. মুসা, ওসমান গনি, রানা মুন্সী, মো. মিঠু, কাওসার জুলহাস, জামাল হোসেন, নুরুল্লাহ খন্দকার, মাসুম খন্দকার, মাসুদ আহমেদ, রাজীব হোসেন সহ শতাধিক নেতাকর্মী।








































আপনার মতামত লিখুন :