৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার বলেছেন, নতুন ভবনে নিচের অংশে বহুত দিন যাবৎ পানি জমে আছে। সরকারি দপ্তরে চিঠি দিয়ে এক মাস যাবৎ পানি নিস্কাশনে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আবু জাফর বাবুল সাহেব এমন সমস্যা শুনে ছুটে এসেছেন। সকাল থেকে বাবুল সাহেব ও তার লোক পানি নিস্কাশনের মটর চালু করেছে। তার এমন মহৎ কাজে অবশ্যই হাসপাতালের দায়িত্ববান একজন হিসেবে তাকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই।
বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পরিস্কার, মশক নিধন ও ডেঙ্গু কিট প্রদান করেন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল। এ সময় তার উদ্দেশ্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর আগে হাসপাতাল পৌঁছলে ফুল দিয়ে আবু জাফর আহম্মেদ বাবুলকে স্বাগত জানান হাসপাতালের সুপার ডা. আবুল বাশার।
তিনি আরও বলেন, চার তলা একটি ভবন পেয়েছি। ২০০ রোগী রাখার ক্ষমতা কিন্তু ৩০০ শয্যা হাসপাতাল। অন্যান্য তলা ঠিক হলে ৫০০ রোগী রাখা সম্ভব। আমার পরিচ্ছন্ন কর্মী মাত্র দুই। আজকে বাবুল সাহেবের পক্ষ থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সাধুবাদ জানাই। আরো দুইজন আমাকে দেয়া হলে হাসপাতালটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারবো। ছোট ছোট জেলায় মেডিকলে হাসপাতাল রয়েছে কিন্তু এই ১ কোটি মানুষের বসবাস নারায়ণগঞ্জের কোন মেডিকেল হাসপাতাল নেই। এগুলো নিয়ে রাজনীতিবিদদের কাজ ছিলো, তাহলে নারায়ণগঞ্জের অসুস্থ রোগী ঢাকা চিকিৎসায় যেত হত না। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেক রোগীদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। যার কারণে অনেক অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালে। কেনো রেফার্ড করতে হয় অনেকে জানে না। হার্টের ও কিডনি রোগের কোন চিকিৎসা বা ডাক্তারই নেই হাসপাতালে। রেফার্ড হলো মেডিকেল চিকিৎসা একটি অংশ।
সুপার বক্তব্যে তথ্য জানান, ডেঙ্গু রোগী বহু বাড়তি রয়েছে। আজকেই ৩৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। চলতি মাসেই ৭০০ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি, কোন ভর্তি রোগী মারা যায়নি। প্রতিদিন ১৫০/২০০ কিট ডেঙ্গু রোগী জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রায় ৭০০ বেশি কিট আজকে দিয়েছেন বাবুল সাহেব। আপনারা জানেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের কাজ থেকে কোন অর্থ নেয়া হয় না।








































আপনার মতামত লিখুন :