বাংলাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর এ কে এম আতিকুল হক ভুঞা নামে বিকেএমইএর চাকরিচুত্য একজন কর্মচারীর পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট সানজিদা আক্তার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে সতর্ক করে বলা হয়েছে- প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে এবং এর জন্য সৃষ্ট পরিণতির দায় আপনাকেই বহন করিতে হইবে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়- এ কে এম আতিকুল হক ভুঞা ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই বিকেএমইএতে ফায়ার ইন্সট্রাক্টর হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৯ সালের ১ আগস্ট যোগদান করেন। বিকেএমইএতে কর্মরত অবস্থায় এ কে এম আতিকুল হক ভুঞা পদোন্নতি পেয়ে সর্বশেষ সিনিয়র ডেপুটি সেক্রেটারি (ফায়ার) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার সর্বশেষ মাসিক বেসিক বেতন ছিল ২৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং মোট মজুরী ৪৭ হাজার ১২০ টাকা।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয় এ কে এম আতিকুল হক ভুঞার চাকুরীর রেকর্ড সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন। বিকেএমইএ কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ সময়ে আতিকুল হকের কাজের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তার সার্ভিস রেকর্ড অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কখনো উপস্থাপিত হয়নি। আতিকুল কোন প্রশাসনিক তদরতি বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন না বিধায় তিনি বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২(৬৫) মোতাবেক একজন শ্রমিক এবং আইনের সংশ্লিষ্ট সকল সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী।
বিকেএমইএতে কর্মরত অবস্থায় আতিকুলকে ২০২৫ সালের ৫ জুন একপত্রের মাধ্যমে আমার মোয়াক্কেলের কর্মরত ফায়ার সেল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে চাকুরী হতে টার্মিনেট করা হয়। আপনার প্রতিষ্ঠানের এহেন নোটিশের জবাব আতিকুল ২০২৫ সালের ১২ জুন লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠানে জমা প্রদান করলেও বিকেএমইএ থেকে ২০২৫ সালের ২৮ জুন ইস্যুকৃত একপত্রের মাধ্যমে আতিকুলকে পেইড লিভ এর নোটিশ প্রদান করা হয়।
আতিকুলকে তার বকেয়া মজুরী ও অন্যান্য পাওনাদি অবিলম্বে পরিশোধ করতে আপনাকে এতদ্বারা অনুরোধ করা হল।
আতিকুলের মধ্যে পাওনার বিবরণ নিম্নরূপ- নোটিশ পে, ১২০ দিনের ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২০০ টাকা, সার্ভিস বেনিফিট ১৬ বছরের (প্রতি বছরের জন্যে ৪৫ দিন করে) ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ২০০ টাকা, প্রভিডেন্ট ফান্ড এর ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৮৩ টাকা ও ছুটির টাকা (৪০ দিনের) ৬২ হাজার ৮২৬ টাকা মোট বকেয়ার পরিমাণ ১৪ লক্ষ ৫ হাজার ৬০৯ টাকা।
এমতাবস্থায়, অত্র নোটিশের মাধ্যমে আপনাকে অবগত করা যাচ্ছে যে, আতিকুলের বর্ণনা মোতাবেক তার বকেয়া সকল পাওনাদি অত্র নোটিশ প্রাপ্তির পর ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য বিকেএমইএকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইল। অন্যথায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে এবং এর জন্য সৃষ্ট পরিণতির দায় বিকেএমইকে বহন করিতে হইবে।
আপনার মতামত লিখুন :